চট্টগ্রামের লালদীঘির উত্তর পাড়স্থ ওরিয়েন্ট টাওয়ারের ডেভেলপার হাজী সবুরের ওয়ার্কিং পার্টনার এসএম আহমদ হোছেনের বিরুদ্ধে জাল জলিল তৈরি করে ১০ লাখ টাকা ভাড়া আত্মসাৎ ও পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান এর আদালতে এ মামলাটি দায়ের হয়। মামলার বাদী সাবেক এমপি ও উপমন্ত্রী প্রফেসর আরিফ মইন উদ্দীনের পক্ষে তার কার্যকারক তারিন মহি উদ্দীন আজিম। কোতোয়ালী থানাধীন লালদীঘি ওরিয়েন্ট টাওয়ারের মালিক মরহুম ব্যারিষ্টার আনোয়ারুল আজিমের ছেলে জাতীয় পার্টির আমলে সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ মইন উদ্দিন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান বলেন, ২০০০ সালের ৩০ মে ভেভেলপার ব্যবসায়ী হাজী আব্দুস সবুরের সাথে বাদী আরিফ মইন উদ্দিনের একটি ভূমি উন্নয়ন চুক্তি হয়। ওই চুক্তির ৩ নম্বর সাক্ষী ও মূল ডেভেলপার হাজী সবুরের ওয়ার্কিং পার্টনার ছিলেন এ মামলার ১ নম্বর বিবাদী আহমেদ হোসেন। তারপর জালিয়াতির মাধ্যমে জাল দলিল তৈরি করে বর্তমানে তিনি নিজেই ওই টাওয়ার এর মালিক সেজে প্রতারণার মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ভাড়া তুলে ১০ লাখ টাকা এবং সেলামী বাবদ ১ কোটি ৯০ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
তিনি বলেন, সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর আপোষ বৈঠকে উপস্থিত হয়ে ১ নম্বর আসামীসহ অপরাপর আসামীরা ৫ কোটি টাকা চাঁদা না দিলে কোন ধরনের আপোষ মীমাংসা হবে না এবং ওই চাঁদা না পেলে বাদীকে হত্যা করবে মর্মে বিবাদীরা হুমকি দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালত মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা, বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ এবং আইনজীবীগণের বক্তব্য শুনে তদন্ত্ম করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই কে নির্দেশ দেন।
ডেভেলপার হাজি আবদুস সবুর বলেন, ‘আহমদ হোছেন জমির মালিকের সঙ্গে আমার চুক্তির সাক্ষী ছিলেন। একই সঙ্গে হোছেন আমার ওর্য়াকিং পার্টনার ছিলেন। কিন্তু পরে জাল দলিল তৈরি করে সে পুরো সম্পদ আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করে। সম্পত্তিটি দখল করে এখন মালিকানা দাবি করছেন। সে সবকিছুই করছেন অবৈধভাবে।’
এ বিষয়ে হোছেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সূত্রঃ বিডিজার্নাল