রাষ্ট্রীয় গোপন বার্তা ফাঁসের মামলায় (সাইফার) পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির বিশেষ আদালত।
ইমরানের সঙ্গে একই মামলায় পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশিকে আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলছে, সর্বশেষ এই রায়ের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার দণ্ডিত হলেন ইমরান খান।
২০২২ সালে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে দুর্নীতির দায়ে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলো। ইতিমধ্যেই সেই দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি।
পাকিস্তানি পেনাল কোডের ৩৪২ ধারা অনুসারে শুনানির শুরুতে ইমরান ও কুরেশিকে একটি প্রশ্নপত্র দেয়া হয়।
ইমরান খানের বক্তব্য নেওয়ার পর আদালত তাকে সাইফারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘আমি আমার বিবৃতিতে একই কথা আগেও বলেছি যে আমি জানি না। সাইফার আমার অফিসে ছিলো।
আগামী আট ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে এই রায় ঘোষণা করা হলো। ইমরান খানের দল পিটিআই এই নির্বাচনী প্রতীক ছাড়াই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।