নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন উপজেলা হাতিয়ায় ১২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের প্রায় ১৮ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত। আর নিঝুম দ্বীপের তিন দিকে সমুদ্র আর এক দিকে মেঘনা নদী থাকলেও চারপাশে নেই কোনো বেড়িবাঁধ। এতে যে কোনো সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিলীনের শঙ্কায় দিন কাটে দ্বীপের প্রায় ৩৬ হাজার মানুষের।
সরেজমিনে দেখা যায়, নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার একটি বিচ্ছিন্ন অংশ নিঝুমদ্বীপ। এর চারপাশ ঘিরে বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা। এই দ্বীপে মানুষ বসবাসের ৬০ বছর পার হলেও নির্মাণ করা হয়নি দ্বীপরক্ষা কোনো বেড়িবাঁধ। প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বসতবাড়ি, সড়কসহ প্রায় ৫০ হাজার একর কৃষিজমি। ৯১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপে বিপর্যয়ের মুখে থাকে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ও অশনির আঘাতে হাতিয়ার মূল ভূখণ্ডের চরকিং, চরঈশ্বর, সোনাদিয়া, চানন্দি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় নতুন নির্মিতসহ প্রায় ১৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।
হাতিয়ার সোনাদিয়ার চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সংস্কার না করা হলে হাতিয়ার মূল ভূখণ্ডে অস্বাভাবিক জোয়ারে পানির নিচে প্লাবিত হয়। বিশেষভাবে, চরঈশ্বর, সোনাদিয়া, চানন্দি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। কয়েকটি এলাকায় নতুন বেড়িবাঁধ করলেও জোয়ারের আঘাতে সেগুলোর অনেকটাই ক্ষতির মুখে। এতে করে হুমকির মুখে রয়েছে ইউনিয়নগুলো। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে কয়েকটি গ্রামের অনেকাংশ।
নোয়াখালীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বলেন, নিঝুমদ্বীপে বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো সংস্কারের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ লোকের বসবাস।