কর্মজীবী নারীর জন্য রাজধানীতে হোস্টেলের সংখ্যা হাতে গোনা। এর মধ্যেই নারী হিসেবে চরম বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হচ্ছে মিরপুরের নবাব ফজিলাতুন্নেসা কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের বাসিন্দাদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিষ্ঠান গড়েই নারীর প্রতি সহিংসতা কমানো যাবে না, তৈরি করতে হবে নারীবান্ধব পরিবেশ।অভিযোগ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান না, এটি মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।গত বছরের মার্চের ২৯ তারিখ হোস্টেল কর্মচারীদের দৌরাত্ম এবং জীবিকা নিয়ে নারীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে লিখিত অভিযোগ জানান বাসিন্দারা। ৬১ জন মেয়ে স্বাক্ষরিত এই অভিযোগের সুরাহা হয়নি এখনো। বরং দিন দিন বেড়েছে দুর্ব্যবহারের মাত্রা।অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন কর্মচারীরা। খুঁজে পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত খলিলকে। এদিকে, আপত্তিকর মন্তব্যের কথা উড়িয়ে দিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গেই গলা মেলান হোস্টেল সুপারও।মন্ত্রণালয় বরাবর করা অভিযোগকে তুচ্ছ ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করে এ সম্পর্কে তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়নি বলে আপত্তি তোলেন তিনি।>নবাব ফজিলাতুন্নেসা কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল সুপার সামিনা হাফিজ বলেন, আমার এখানে অভিযোগ করলে তারপর ব্যবস্থা না করতে পারলে দেখা যাবে।বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিবর্তনে প্রয়োজন নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের।কর্মক্ষেত্রে নারী এগিয়ে এসেছে বহুদূর। কিন্তু, সমাজ এখনো নারী এগিয়ে আসার তালে চলতে পারছে না। এ কারণেই নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে নারীকে। এমনকি খোদ মন্ত্রণালয় পরিচালিত যে নারী হোস্টেলগুলো রয়েছে সেখানেই নারীকে পড়তে হচ্ছে নানা ধরনের বিড়ম্বনায়। এর থেকে মুক্তির উপায়, যারা এখানে চাকরি করছেন তাদের নারীবান্ধব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।