শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দক্ষিণ ডেফলাই গ্রামে এক গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর বুধবার এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত হযরত আলী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দিতে আপোসের কথা বলে মেয়েটিকে চিকিৎসা নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার প্রায় ৫ দিন পর রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত হযরত আলী (৩০) দক্ষিণ ডেফলাই গ্রামের ছাবের আলীর পুত্র। ভিকটিমের পরিবার জানিয়েছে, ভিকটিমের বয়স আনুমানিক ২২ বছর। কিছু দিন আগে একই উপজেলার বনগাঁও গ্রামে বিবাহ দেওয়া হয়েছিল। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় ঘটক হযরত আলী তা মিমাংসা করে দিবে বলে কৌশল করে মোবাইলে স্বামীর সাথে গোপনে কথা বলিয়ে স্বামীর রাগ ভাংগাবে বলে রাতে ডেকে সবার আরালে বাড়ির পূর্ব পাশে খালি এক নির্জনে নিয়ে যায় । সেখানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে হয়রত আলী। এই কথা এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া ভান্ডারী ও আরও কয়েক জনের সহায়তায় বৈঠক করে হযরত আলীর নিকট ৫ কাটা জমি লিখে নেয় এবং নগদ কিছু অর্থও হাতিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু ধর্ষিত আশামনিকে জমির দলিল বা নগদ অর্থও বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। তাতে এ বিষয়টি নিয়ে পরিবারের লোকজন থানায় যেতে চাইলে হযরত আলী ও এলাকার ইউপি সদস্য জিয়া ভান্ডারী গং কিছু মাতুব্বর মেয়ের পরিবারের লোকজনকে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আপোষ মিমাংসা কথা বলে কালখেপন করতে থাকে।এছাড়াও তাদেরকে থানায় যেতে বাধা দেয়। পরে বিষয়টি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, জানতে পেরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে তিনি জানান এবং আইনগতভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।