ঢাকার ধামরাইয়ে বংশী নদী থেকে লিখন হোসেন (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।পুলিশ জানায়, বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে লিখন হোসেন (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রকে মোটরসাইকেলে করে তার দুই বন্ধু দিপু ও ইমন ধামরাইয়ের হাজিপুর বংশী নদীর পাড়ে নিয়ে যান। সেখানে তিনি নদীতে নিখোঁজ হলে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল খবর দিলে সার্ভিসের ডুবুরিদল পানির নিচে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত লিখন পৌর শহরের ঘরিদার পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। সে পৌরসভার রফিক রাজু স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বেড়ানো প্রাক্কালে লিখনের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে এ নিয়ে রয়েছে ধূয়াসা ! নিহত স্কুল ছাত্রের পরিবারের দাবি তাকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের দুই বন্ধুকে আটক করেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে নিহত ছাত্রের দুই বন্ধুকে গণপিটুনি দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।
অন্যদিকে ধামরাইয়ের ভালুম এলাকার একটি নদী থেকে মনিকা আক্তার নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী র লাশ উদ্ধার
করেছে পুলিশ।পুলিশ জানায়, গেল দুইদিন আগে সে হাজারীবাগ থেকে গ্রামে এসেছিল। গতকাল মোবাইল নিয়ে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে বিকেলের দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে সে। সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় একটি ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ে নিখোঁজ হয়। পরে আজ দুপুরে দেপাশাই এলাকায় তার মরদেহ ভেসে ওঠে।। নিহত মনিকা আক্তার মীম (১৫) সানোরা ইউনিয়নের ভালুম গ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে। সে রাজধানীর হাজারীবাগের একটি স্কুলে পড়ত।
এদিকে সাভারের মিরপুর বেরিবাধ এলাকার তুরাগ নদীতে পানিতে ডুবে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন নিহত দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন।নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।দৈনিক অপরাজিত বাংলা