বাংলাদেশের জেলা শহর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পানি নেই গেল ২২ দিন ধরে। সিদ্ধিরগঞ্জের ভুমিপল্লী,হাইজিং ও আটি এলাকায়, প্রায় বিশ হাজার বাসিন্দা পানির জন্য হাহাকার করছেন। ওয়াসার পানি না পেয়ে, অন্তহীন দূর্ভোগে পড়েছেন তিনটি এলাকার বাসিন্দারা। প্রকট হচ্ছে তাদের কষ্টের মাত্রা।
তবে কবে নাগাদ পানি সমস্যার সমাধান হবে তাও জানাতে পারছেনা স্থানীয় ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। পানি না পেয়ে মানবেতর অবস্থায় রয়েছেন নারী শিশু ও বৃদ্ধরা। স্থানীয়রা বলছেন, অক্টোবর মাসের ২০ তারিখ থেকে থেকে ওই তিন এলাকায় ওয়াসার পানি হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায়। ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেও তারা কোন সুরাহা পাননি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।
অনেকে ইতোমধ্যে ওয়াসার পানি না পেয়ে, সাবমারসিবল পানির পাম্প বসাচ্ছেন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, মাসে মাসে ওয়াসার বিল পরিশোধ করেও এ পরিস্থিতি মেনে নেয়া যায়না।
নারায়নগঞ্জ ভুমিপল্লী এলাকার পাম্প হাউজিংয়ের পাম্প অপারেটর মাহমুদুল হাসান তুষার জানালেন বিভিন্ন সমস্যার কথা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ায়, এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিকল হওয়া পাম্প ঠিক হলেই আবারো ওই এলাকাগুলোতে পানি দেয়া হবে। তবে কবে ঠিক হবে তা তিনিও বলতে পারছেন না।
এদিকে, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এখনো মাঝে মধ্যে দেখা যায় সুপেয় পানির অভাব। কিন্তু জনভোগান্তি লাঘব করতে পারছে না ওয়াসা। এ প্রসঙ্গে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজের হোসাইন বলেন, গ্রাহক চাহিদা পূরণ করা সেবা কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নীতিগত দায়িত্ব। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠান যদি সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে সংক্ষুব্ধ গ্রাহক বা ভোক্তা তার প্রাপ্য দাবীতে আদালতে পর্যন্ত অভিযোগ করার অধিকার রাখে।
তবে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে, অতি দ্রুত এলাকাগুলোতে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন ভোক্তা অধিকারের এ নেতা। #
পার্সটুডে/নিলয় রহমান খান/রেজওয়ান হোসেন/১১