টেকনাফ থানার সাবেক ওসি বহিস্কৃত প্রদীপ কুমার দাশের দায়ের করা ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় কারাভোগের দীর্ঘ ১১ মাস ৫ দিনপর জামিনে মুক্ত হলেন সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।
কারামুক্ত হয়ে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেনসাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তিনি কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন। তার স্ত্রী হাসিনা আকতার, বোনফাতেমা আকতার বেবি, সালমা আকতার, মেয়ে সোমাইয়া মোস্তফা, ছেলে শাহেদ মোস্তফা, সাজেদুল মোস্তফাসহ স্বজনেরাকারাফটক থেকে ফরিদকে বরণ করে নেন। কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিতকরেছেন।
এরপর তিনি সহকর্মী, স্বজন ও চিকিৎসকদের পরামর্শে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ফরিদের বর্ণনার সুত্র ধরে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। চোখে ঠিক মতো দেখেন না। স্মৃতিশক্তি কমে গেছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ব্যথা। তার অনেক পরীক্ষা নীরিক্ষা দরকার। রোগ নির্ণয়ের পর মূল চিকিৎসাশুরু হবে।
ভর্তির পরপরই ফরিদুল মোস্তফার প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিকমেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মোঃ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী।
এদিকে কারামুক্তির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফরিদুল মোস্তফা প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, কারা কর্তৃপক্ষ, আইনজীবী, সহকর্মী সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ফরিদুল মোস্তফা বলেন, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তার মদদপুষ্ট কিছু পুলিশ সদস্যের হাতে নির্মমতার শিকার হয়েছি। আমিএকটু সুস্থ হই। সব ঘটনার বর্ণনা দেব। আমার ওপর পাষবিক নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই।
সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা টেকনাফ হোয়াইক্যং সাতঘরিয়া পাড়ার বাসিন্দা মরহুম ডাঃ ইছহাক খানের ছেলে। বর্তমানে শহরের১ নং ওয়ার্ডের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা।
তার বিরুদ্ধে একে একে ৬টি মামলা হয়। যার সব কটিই সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে পরিবারের দাবি।
অস্ত্র, ইয়াবা ও বিদেশি মদের সাথে জড়িয়ে সর্বশেষ তিনটি মামলার আসামী বানিয়েছিলেন মেজর (অবঃ) সিনহার হত্যামামলার আসামী টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুরের বাসা থেকে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ার বাড়িতে তাকেসহ নিয়ে গিয়ে কথিত অভিযান চালানো হয়। ওই সময় গুলিসহ ২টিঅস্ত্র, ৪ হাজার ইয়াবা ও বিপুল পরিমান বিদেশী মদের বোতল উদ্ধার হয়।
গত বছরের ৩০ জুন ফরিদুল মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় চাঁদাবাজি মামলা রুজু হয়। যার মামলা নং– ১১৫, জিআর নং–৩১৬/১৯। এরপর তাকে পুলিশ হন্য হয়ে খোঁজতে থাকে। আত্মরক্ষায় ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায় ফরিদুলমোস্তফা। নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর গত বছরের ২৮ জুলাই পৃথক আবেদনও করেন।
সাংবাদিক ফরিদের পরিবারের দাবী, উক্ত আবেদনের তদন্ত না করে উল্টো টেকনাফ থানা ও কক্সবাজার সদর থানা পুলিশেরএকটি বিশেষ টিম মিরপুর থানার পুলিশের সহায়তায় ‘ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। আইন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেআদালতে সোপর্দ না করে শারীরিক ও