ডেঙ্গুতে আক্রান্তের রোগীর পানিশূন্যতা ও রক্তের ঘনত্ব ঠিক রাখতে দেওয়া হয় আইভি স্যালাইন। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই বিশেষ স্যালাইনের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও ফার্মেসিতে আইভি স্যালাইন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, ইতিমধ্যে স্যালাইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎপাদন বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গেলো সাত অগাস্ট পর্যন্ত সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ডেঙ্গু রোগী। প্রতিটি রোগীর জন্য দিনে অন্তত চার থেকে পাঁচ ব্যাগ স্যালাইন দরকার। দৈনিক হিসেবে দরকার প্রায় ৪৮ হাজার ব্যাগ স্যালাইন। যা সরকারি ভাবেই সরবরাহ করা হয়।
রোগীর সজনরা বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো ফ্লুইড ম্যানেজম্যান্ট বা আইভি স্যালাইন। কিন্তু সেই স্যালাইনের এখন তীব্র সঙ্কট চলছে। সরকারি বেসরকারি দুই পর্যায়েই স্যালাইনের জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে ফার্মেসিগুলোতে দাম বেড়েছে কয়েকগুণ।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান সঙ্কটের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকারি হাসপাতাল গুলোতেও রোগীদের স্যালাইন নিয়ে হিমশিম অবস্থা তৈরী হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বাভাবিকের তুলনায় স্যালাইনের চাহিদা এখন প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস ও চারটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানানকে স্যালাইনের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার ৮০ শতাংশই নির্ভর করে ফ্লুইড ম্যানেজম্যান্টের ওপর। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যেই এটি সরবরাহ করা হয়।