দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে নিরবচ্ছিন্ন এই ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শুরু হয়েছে ভোট গণনা।
আজ রোববার সাড়ে ৩টার দিকে নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, সারা দেশে অনিয়মের অভিযোগে ৭টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়েছে।
জাহাংগীর আলম বলেন, বিভিন্ন সূত্রে ভোটের হিসাব থেকে জানা গেছে বেলা ৩টা পর্যন্ত সারা দেশে ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ঢাকা বিভাগের আসনগুলোতে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ শতাংশ, খুলনায় ৩২ শতাংশ, সিলেটে ২২ শতাংশ, ময়মনসিংহে ২৯ শতাংশ, বরিশালে ৩১ শতাংশ, রাজশাহী ও রংপুরে ২৬ শতাংশ করে ভোট পড়েছে।
এদিকে সারা দিন ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা ঘটেছে। সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কিছুটা বাড়তে থাকে।
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের এই নির্বাচনকে ‘ভোট ডাকাতির নির্বাচন’ বললেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ২৪টি। ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৬টি। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে পোলিং অফিসার পর্যন্ত দুই লাখের বেশি নির্বাচনী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন।
এদের মধ্যে আছেন ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার, ৫৯০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং ৪২ হাজারের বেশি প্রিসাইডিং অফিসার।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল গত ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। আর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হয় ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর।
এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ করা হয় ১৮ ডিসেম্বর।
ওই দিনই প্রচার শুরু করেন প্রার্থীরা। এরপর গত শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চলে প্রচার।
এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ২৮টি দল অংশ নেয়। বিএনপিসহ বাকি সমমনা দলগুলো অংশ নেয়নি।