কলাপাড়ায় নারী ইউপি সদস্যকে
দু:শ্চরিত্র বলায় ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল সালাম
সিকদারকে এক বছর দুই মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ৫ নভেম্বর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের
জ্যেষ্ঠ বিচারক শোভন শাহরিয়ার এ রায় ঘোষনা করেন।
ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য মোসা: শাহানারা
বেগম গত ৮ এপ্রিল ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল সালাম
সিকদার’র বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা মানহানির অভিযোগসহ ন্যায় বিচার চেয়ে
বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। বাদীর প্রদত্ত জবানবন্দিতে সন্তুষ্ট হয়ে
বিজ্ঞ আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। এরপর
বিচার বিভাগীয় তদন্তে মামলার বর্নিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় চেয়ারম্যান
সালাম সিকদারের বিরুদ্ধে সমন জারী করেন আদালত। পরবর্তীতে আদালতের
অনুকম্পায় চেয়ারম্যান জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে দ:বি: ৫০০ ধারায় অভিযোগ
গঠন করেন আদালত। মামলায় তিন জন সাংবাদিক নেতা সহ মোট ৫ জন বিজ্ঞ আদালতে
সাক্ষ্য প্রদান করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: ফেরদৌস মিয়া আদালতের এ রায়ের সত্যতা স্বীকার
করেন। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো: গোফরান বিশ্বাস
পলাশ এবং আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মি: নাথুরাম
ভৌমিক। রায় প্রচারের সময় আদালতে আসামী অনুপস্থিত ছিল।
রায় প্রচারের পর বাদী পক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামী পক্ষ এ রায়ের
বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন আসামী পক্ষের কৌশুলী।
উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল ২০১৯ রাত ৮ টার দিকে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান আবদুল সালাম সিকদার পারিবারিক জমিজায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে তার
পরিষদের নারী ইউপি সদস্য ও চাচাতো বোন মোসা: শাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে
কলাপাড়া প্রেসক্লাবের হলরুমে দু:শ্চরিত্র নারী বলে লিখিত সংবাদ সম্মেলন
করেন। যা পরবর্তীতে একাধিক জাতীয়, আঞ্চলিক পত্রিকাসহ অনলাইন নিউজ
পোর্টালে প্রচারিত হয়। এতে একাধিক নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ
করে।