ঢাকাশনিবার , ১০ জুলাই ২০২১
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ

বঙ্গপোসাগরের হাঙ্গর।

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১০, ২০২১ ৫:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাগরের হাঙ্গর নিয়ে মানুষের মনে এক ধরনের ভীতি আছে। অধিকাংশ মানুষ ভাবে হাঙ্গর মানেই বিশাল ভয়ংকর আক্রমনাত্মক এক প্রাণী। অথচ পৃথিবীতে যত হাঙ্গর আছে তার মধ্য ৮০ শতাংশের দৈর্ঘ্য গড়ে মাত্র ১.৬ মিটার,যাদের মানুষকে আঘাত করার ক্ষমতা নেই।

পৃথিবীব্যাপী মাত্র ৩টি প্রজাতির হাঙ্গর মানুষকে আক্রমণ করে, তারা হলো-
গ্রেট হোয়াইট,
টাইগার ও বুল শার্ক।
এ তিনটি প্রজাতি আক্রমনাত্মক হলেও বছরে সারাবিশ্বে এদের দ্বারা মাত্র ৮-১০টি shark attack এর ঘটনা ঘটে যা অনান্য প্রাণী যেমন হাতি, কুমির, মৌ মাছির আক্রমণের তুলনায় অতি নগন্য।

গবেষকদের হিসাবে, বাংলাদেশে হাঙ্গর এবং হাউস (শাপলাপাতা মাছ) মিলিয়ে প্রায় ২৭টি প্রজাতি রয়েছে। বাংলাদেশে প্রজাতিগুলোর মধ্যে ইয়েলো ডগ শার্ক (টুইট্যা হাঙ্গর), মিল্ক শার্ক (কামোট হাঙ্গর), হ্যামারহেড হাঙ্গর (হাতুড়ী হাঙ্গর), বুল শার্ক (বলি হাঙ্গর) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বুল শার্ক ছাড়া এসব হাঙ্গর ততোটা হিংস্র নয়।

বঙ্গপোসাগরের জেলেরা হাঙ্গর শিকারের জন্য বিভিন্ন প্রকারের জাল ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণত শীতকালেই বেশি হাঙ্গর ধরা পড়ে। প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় সমুদ্রের তলদেশে পানির তাপমাত্রা কমে গেলে খাদ্যের সন্ধানে ঝাঁক বেঁধে পানির উপরিভাগে চলে আসে হাঙ্গর। তখন বিশেষ এক ধরনের জাল দিয়ে হাঙ্গর ধরা হয়।

বিশ্বব্যাপী হাঙ্গরের রয়েছে বিশাল বাজার। ব্যাপক বানিজ্যিক চাহিদার কারনে ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা,মায়ানমার, থাইল্যান্ড সহ বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী দেশের মৎস্য শিকারীদের অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত আহরনের ফলে বঙ্গপোসাগরের হাঙ্গরের প্রজাতিগুলো হুমকির সম্মুখীন।

লেখকঃ
সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার পারভেজ
মহাপরিচালক (ডিজি)
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।