ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মানুষ ভোরে ওঠার অভ্যাস পেয়েছে নিয়ান্ডারথালদের কাছ থেকে

প্রযুক্তি ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩ ৬:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নতুন এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের মধ্যে নিয়ান্ডালথালদের থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া একটি জেনেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাদের প্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ-খাওয়ানোর ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।

জিনোম বায়োলজি অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের বডি ক্লক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নিয়মের পাশাপাশি জেনেটিকসের একটি জটিল বৈশিষ্ট্যের ভান্ডার। এই বৈশিষ্ট্যের কিছুটা এসেছে আদি পুরুষ নিয়ান্ডারথালদের থেকে।

ইউরোপ ও এশিয়ার উত্তরের এলাকায় হাজার বছর ধরে বসবাসকারী নিয়ান্ডারথালরা আদি আদি হোমো স্যাপিয়েনসের তুলনায় দিনের আলোতে ঋতুগত পরিবর্তনের সঙ্গে আরো ভালভাবে মানিয়ে নিতে পারত। আধুনিক মানুষ আফ্রিকার নিরক্ষরেখার কাছাকাছি এলাকায় বিবর্তিত হয়েছেন, যেখানে দিনের আলোর অপেক্ষাকৃত কম পরিবর্তন হয়।

গবেষকদের দাবি, আদি হোমো স্যাপিয়েনসরা আফ্রিকা থেকে উত্তর দিকে চলে যান ও সেখানে ৪০,০০০ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া নিয়ান্ডারথালদের মুখোমুখি হন ও আন্তপ্রজনন করেন। ফলে দিনের আলোর পরিবর্তনের সঙ্গে নিয়ান্ডারথালদের খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষমতা তাদের কাছে পৌঁছে যায়। ওই বৈশিষ্ট্যের কারণে মানুষের বডি ক্লকে পরিবর্তন দেখা দেয়। কেউ হয় ভোরে ওঠা মানুষ আবার কেউ হন নিশাচর।

গবেষক দলের সদস্য ও ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার বেকার হেলথ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের এপিডেমিওলজি ও বায়োস্ট্যাটিস্টিকের প্রফেসর টনি ক্যাপরা বলেন, ‘উচ্চ অক্ষাংশে এমন একটি বডি ক্লক থাকা দরকার যা ঋতুভিত্তিক আলোর পরিবর্তন সম্পর্কে আগে থেকে অনুমান করতে পারে ও সেই অনুপাতে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষমতা রাখে। দ্রুতগামী রানিং ক্লক এই ক্ষমতাকে সহজ করে তোলে ও ভোরে ঘুম থেকে ওঠার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।’

তিনি ই-মেইলে জানান, ‘আমরা অন্য প্রজাতি থেকে জানতে পারি যে যারা বিভিন্ন পরিসর জুড়ে বসবাস করে তাদের দেহের সার্কেডিয়ান ক্লক প্রায়ই আলো ও অন্ধকার চক্রের পার্থক্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।’

গবেষকরা নিয়ান্ডারথালের প্রতিরূপ একটি মানব জিনোমের ডিএনএ ও নিয়ান্ডারথালের অনুরূপ একটি প্রাচীন ডেনিসোভানের ডিএনএ বিশ্লেষণ করেছেন। সার্কেডিয়ান রিদমকে প্রভাবিত করা প্রাচীন ও আধুনিক ডিএনএ এর মধ্যে তুলনা করে গবেষকরা সার্কেডিয়ান জিন কীভাবে বডি ক্লক ফাংশনের সঙ্গে যুক্ত তার অনেকগুলো পার্থক্য চিহ্নিত করেন।

বর্তমানে জীবিত মানুষের মধ্যে নিয়ান্ডারথালের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য গবেষকরা ইউকে বায়োব্যাংকের সাহায্য নেন। ইউকে বায়োব্যাংক হলো এমন একটি মেডিক্যাল ডেটাবেস যেখানে কয়েক হাজার মানুষ যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের জেনেটিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে।

ক্যাপরা ব্যাখ্যা করেন, ‘যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন সাধারণত তাদের মধ্যে কিছুটা নিয়ান্ডারথালের ডিএনএ রয়েছে। আন্তপ্রজননের ফলে আধুনিক মানুষের মধ্যে নিয়ান্ডার্থালের যে ডিএনএ পাওয়া যায় তার কিছু উল্লেখযোগ্য প্রভাব আমরা খুঁজে পেয়েছি।’

বিজ্ঞানীরা ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো নিয়ান্ডারথালের জিনোম সিকুয়েন্সিং এরপরই প্রাচীন ও আধুনিক মানুষের মধ্যে জেনেটিক পার্থক্য নিয়ে গবেষণা করতে শুরু করেন। একই বছর, একটি প্রাচীন ফসিল বিশ্লেষণ করে ডেনিসোভানসদের সম্বন্ধে জানা যায়। সূত্র: TBN24

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।