চট্টগ্রাম ফুসফুস খ্যাত সিআরবি’তে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের মধ্যে সিআরবি’তে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শত শত শতবর্ষী বৃক্ষ ধ্বংশ করে হাসপাতাল নির্মানের চুক্তির প্রেক্ষিতে ফুঁসে উঠেছে সমগ্র চট্টলাবাসী সহ দেশের পরিবেশবাদীরা।
বসে নেই চট্টগ্রামের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারাও। প্রতিবাদ, মানববন্ধনে নিজেদের অবস্থান জানাচ্ছেন কিভাবে রক্ষা করা যায় চট্টগ্রামের এ বিশাল প্রাকৃতিক অক্সিজেন ফ্যাক্টরিকে।
প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্য মন্ডিত সিআরবি’তে বাংলাদেশ রেলওয়ের হাসপাতাল নির্মানের চিন্তাভাবনা কতটুকু নেতিবাচক বা ইতিবাচক তা জানতে অপরাজিত বাংলা২৪.কম এর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা একেএম বেলায়েত হোসেন’র।
বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রামের অন্যতম প্রাকৃতিক নান্দনিক স্থান সিআরবি’তে হাসপাতাল নির্মানের বিষয়ে জানতে চাইলে জনাব একেএম বেলায়েত হোসেন বলেন,
“সিআরবি’র শত বছরের ঐতিহ্য নষ্ট করে কোন ধরনের হাসপাতাল চাইনা।”
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সেবার জন্য আধুনিক হাসপাতাল নির্মানের প্রয়োজন আছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের জনগনের স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করার জন্য উন্নত মানের আর-ও হাসপাতালের প্রয়োজন রয়েছে। তবে কোন ভাবেই প্রাকৃতিক নৈসর্গ সিআরবি’কে ধ্বংশ করে নয়।”
কেন সিআরবি’তে নয় এমন প্রশ্নের জবাবে বর্ষিয়ান এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “বর্তমানে যেসব বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে তার সব কয়টির অবস্থান চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এর শুণ্য কিলোমিটার থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। অপরদিকে সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ অংশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে একটিও প্রাইভেট হাসপাতাল নেই।”
জনাব বেলায়েত হোসেন আরও বলেন, “নির্মাণাধীন কর্ণফুলী টানেল এবং হালিশশহর-পতেঙ্গা বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ হলে অত্র হালিশহর পতেঙ্গা এলাকা হবে চট্টগ্রাম মহানগরের সবচাইতে ঘনবসতিপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সবদিক বিবেচনায় রেখে এবং চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের যৌক্তিক দাবীর প্রতি সন্মান দিয়ে প্রস্তাবিত হাসপাতাল হালিশহর সিএসডি গোডাউনের পাশে স্থাপন করাই সমীচিন বলে মনে করি।
সেটাও রেলওয়েরই সম্পত্তি।’
কিন্তু ইতিমধ্যে ১৮ মার্চ ২০২০ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিটির কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন-
“এটা বড় কোন সমস্যা না। যেহেতু ওনারা বলছেন এটা প্রস্তাবনার চুক্তিতে আছে সেক্ষেত্রে শুধু সম্পাদিত চুক্তির কিছু ধারা পরিবর্তন করতে হতে পারে হয়তো। আর যদি এটা চূড়ান্তও হয়ে থাকে তথাপি দেশ, মানুষ ও প্রকৃতির কথা চিন্তা করে যেকোন অবস্থান থেকেই সরে আসা যায়।”
সাক্ষাৎকারে ছিলেন~
একেএম বেলায়েত হোসেন
সাবেক সহ সভাপতি (১৯৯৬ -২০১৩) ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং
বর্তমান উপদেষ্টা,
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ও
আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি
(মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত)