ঢাকাশুক্রবার , ৯ জুলাই ২০২১
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ

সুযোগের অভাবে সৎ বাঙালীর মুখে যুক্তির অভাব থাকেই না…

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ৯, ২০২১ ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

যেমন ধরেন ইভ্যালীর কথাই বলছি, খোলা চোখে ইভ্যালী যা করছে তা প্রতারনা ও দুর্নীতি ছাড়া আর কিছুই না। এমন অবস্থায়, ইভ্যালীর বিষয়ে যেই না সরকার একটু কঠোর হলো, আর তেমনি গত কয়েক বছরে ইভ্যালী থেকে ১০০ টাকার জিনিস ৫০ টাকায় ক্রয় করে ডেলিভারী পেয়েছে বাঙ্গালীটার মুখ দিয়েও এখন ফুটছে অঢেল যুক্তি, যে অমুকে তমুকে দুর্নীতি করতে পারলে ইভ্যালী করলে সমস্যা কি? এখন এই অথর্ব যুক্তিকে যদি সাউন্ড গুড হিসেবে মেনে নেওয়া হয়, তাহলে অমুক তমুক যারা প্রতারনা অর্থআত্মসাৎ করেছে।

উদহারন আটক জিকে শামীমের কথাই বলা যাক, এখন জিকে শামীম যদি বলে ইভ্যালীর রাসেল দুর্নীতি প্রতারনা করতে পারলে আমি আটক কেন? উত্তর আছে কোন?

করোনায় সরকার কি করছে কি করে নাই, এই ব্যাখ্যা সকলের কাছে দেওয়ার দরকার নাই, কারন করছে লিষ্ট এতোই লম্বা যে, বলতে বলতে অনেক সময় লেগে যাবে, তার চেয়ে সহজ উপায় করোনা মহামারী মোকাবেলায় সরকার কি করে নাই, এমন একটা লিষ্ট তৈরি করেন, কম্পেয়ারে রাখবেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকাকে, যে আমেরিকার সাথে কম্পেয়ারে গেলে বাংলাদেশের মত দেশের সরকার প্রধান করোনা মোকাবেলায় কি করেছে কি করে নাই, আশা করি বুঝে নিতে পারবেন।

একটা কথা বলুন, ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ থেকে ২০২১ সালের ৭ই জুলাই পর্যন্ত লাগাতার, মাঝে মধ্যে, লকডাউন নামের যন্ত্রনার কারনে সারাদেশে না খেয়ে গরীব, আধাগরীব যেকোন স্তরের মানুষ মারা গেছে, এমন একজন লোকের নাম বলুন, তথ্য প্রমান সহ না খেয়ে মারা গেছে প্রমান হয়। কথা দিচ্ছি ঐ পরিবারের আজীবন ভরন পোষনের দ্বায়িত্ত্ব নিবো আমি…

বাংলাদেশের লকডাউন কেন? কার জন্য? এর সুবিধা ভোগ করবে কে? কথার কথা আমার মত সামান্য ফেসবুকার যিনি চটাং ফটাং যুক্তি দিচ্ছি, এই করছি, সেই করছি, লকডাউন মানলাম না, করোনায় সংক্রমিত হয়ে যদি আগামীকাল মারা যাই, তাহলে সরকারের কি আসবে যাবে? কোন সচিব আমলা টামলার কি আসবে যাবে?

একটা পক্ষ মাঠে নেমেছে, মনে হচ্ছে যেন লকডাউনের কারনে একমাত্র তারাই ক্ষতিগ্রস্ত আর কেউ ক্ষতিগ্রস্ত নয়। আরেকটা পক্ষ তাদের উষ্কানী দিচ্ছে, লকডাউন অমান্য করতে উৎসাহ দিচ্ছে। কথার কথা, যিনি পেটের কথা বলে, না খেয়ে থাকার অজুহাতে নানান স্পর্শকাতর যুক্তি দিয়ে লকডাউন অকার্যকর চেষ্টা করছে, কালকে যদি সে করোনা আক্রান্ত হয়, অনেক অসুস্থ হয়ে পরে, তখন তার দায় নিবে কে? যারা উষ্কানী দিচ্ছে, লকডাউন নিয়ে রাজনীতি করছে, তারা? খুজে পাওয়া যাবে?

আরে ভাই, আমার বড় পরিবারের কথা বলছি, এক সাথে থাকা বিরাট বড় একটা পরিবারের বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু জায়গা জমির দরকার, তার চেয়েও অনেক বেশী জমি থাকার পরেও আমার বাপ, আমার মা, আমার চাচারা, আমার ফুফুরা, আমার দাদা, দাদী… আমার জন্মের আগের ঘটনা, দুই দিনে এক বেলা ভাত খেতো বাকী সময় না খেয়ে থেকেছে। আটার জাও, শালুক সেদ্ধ ছিলো তাদের নিয়মিত খাবার, বছরের পর বছর ধরে। কই এরা ত একটাও না খেয়ে মরেনি, দাদা দাদী বয়সের কারনে মারা গেছে, বাকী এখনো দিব্যি বেঁচে আছে, সুস্থ শরীরে বেঁচে আছে।

কাজেই যেসব টাউটের বাচ্চারা বলছে যে না খেয়ে মারা যাবে মানুষ, ইত্যাদি নানান সব আবেদনময়ী কথা, বিশ্বাস করুন, ইহা সব ভন্ডামী, এরা মুলত: করোনার মহামারী নিয়েও লাশের রাজনীতি করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। কাজেই অনতি বিলম্বে এইসব কুলাঙ্গার রাজনীতিবীদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের জন্য ফরজ হয়ে গেছে।

কথা হলো, তুমি স্বাস্থ্যবিধি মানবা না, লকডাউন মানবা না, নিজে গিয়ে করোনার সাথে থাকবা, নিজের ইচ্ছায় করোনাকে শরীরে ঢুকাবা তারপরে আইসিইউর জন্য চিল্লাবা, কেন? এটা কেমন লজিক?

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।