এবারও সীমিত থাকছে চট্টগ্রামে কোরবানি পশুর হাট। স্থায়ী হাটের পাশাপাশি বসবে তিনটি অস্থায়ী হাট। করোনা সংক্রমণ রোধে কড়া নজরদারি থাকবে স্বাস্থ্যবিধিতেও। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ, হাটে শিশু ও সয়স্দেকদের নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি অনলাইনে বেচাকেনা উৎসাহিত করা দরকার।অনেকটা প্রস্তুত পশুর হাটের অবকাঠামো। তৈরি করা হয়েছে পশু রাখার সারি সারি টিনের প্যান্ডেল। তার মধ্যে বসানো হয়েছে বাঁশের খুঁটিসহ খাজনার স্থান। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে আসতে শুরু করেছে নানা জাতের পশু। সেগুলো তোলা হচ্ছে হাটে।
নগরীতে এবার তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি তিনটি অস্থায়ী হাটও বসবে। তবে করোনার ঊর্ধ্বগতিতে হাটগুলোতে এবারও কঠোর করা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মানার নিয়মনীতি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ তো আবারও বাড়ছে। তাই রাস্তাঘাটে যদি পশু বিক্রি হয়, তাহলে জ্যামের কারণে মানুষের আসা-যাওয়ার সমস্যা সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি করোনাভাইরাসে সংক্রমণেরও আশঙ্কা বেড়ে যায়। এজন্য আমরা হাট সীমিত করে দিয়েছি।’
এক্ষেত্রে বয়স্ক ও শিশুদের পশুর হাটে যাওয়া নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহিত করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি হাটের বাইরে মাস্কের ব্যবস্থা এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাছাড়া বর্তমানে ডিজিটাল যুগ; তাই অনলাইনের পশু কেনাবেচার বিষয়টিকে উৎসাহিত করতে হবে।
গেল দুই বছর পশু বিক্রিতে লোকসানের হিসাব, এবার লাভে নেয়ার আশা বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীদের। তারা বলেন, এখন তো মাত্র শুরু। ঈদ যত কাছে আসবে হাট ততই জমে ওঠবে। এবার কিছুটা লাভ হলে আগের বছরের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর কোরবানির ঈদে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ পশু বেচাকেনা হয়, যা টাকার অঙ্কে আড়াই হাজার কোটি টাকার মতো।