আজ বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মদিন।
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৮টায় বনানী
কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করবে আওয়ামী লীগ,
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো।
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটিতে সরকারি কর্মসূচি ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,
সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ
বেতারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
এ ছাড়া বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে
‘প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী’ শীর্ষক আলোচনা সভা করবে আওয়ামী যুবলীগ।
দুপুর ২টায় বাদ জোহর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় খাদ্য বিতরণ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
বিকেল ৩টায় আলোচনা সভা করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শ্রমিক লীগ।
এদিকে গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায় দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প আয়োজন করবে স্বাধীনতা চিকিৎসক
পরিষদ।
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন ও ‘বাংলাদেশের মাতা, বাংলাদেশের নেতা’ শীর্ষক ছাত্রী সমাবেশ
করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন
করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গমাতা ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট তৎকালীন
গোপালগঞ্জ জেলার (তৎকালীন মহকুমা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেণু।
বাবার নাম শেখ জহুরুল হক, মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম।
এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট।
স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছায়ার মতো অনুসরণ করা
বেগম মুজিব জীবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন।
এজন্য অনেক কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাকে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তিনিও জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণা ও আত্মবিশ্বাসের উৎস তিনি।
যিনি পাশে ছিলেন বলেই দেশের কঠিন সময়ে সাহসী সিদ্ধান্ত সহজেই নিতে পারতেন শেখ মুজিব।
মৃত্যু পর্যন্ত পাশে থেকে যিনি দিয়েছেন ভরসা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভূমিকা আজও জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।