ঢাকারবিবার , ৬ আগস্ট ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আমি মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি, নিজের ভাগ্য না: প্রধানমন্ত্রী।

অনলাইন ডেস্ক
আগস্ট ৬, ২০২৩ ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণই ভোটের মালিক।
এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলেই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা নিয়ে চলতে পারবে।
জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করতে আওয়ামী লীগ সংগ্রাম করেছে।

রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার
সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশের তৃণমূলের নেতা
কর্মীদের সঙ্গে এই বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুর্নীতি ও দুঃশাসনের
ফলে এদেশে সামরিক শাসন জারি হয়েছিল।
জনগণ চাইলে দেশ এগিয়ে যাবে।

এসময় উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে
এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সভাপতি উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশ্যে
বলেন, আপনাদের পদচারণায় গণভবন প্রাঙ্গণ আজ ধন্য।
অনেকদিন পর আপনাদের সঙ্গে কথা বলার একটা সুযোগ হলো।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে একটা চক্রান্ত শুরু হয়।
সেই চক্রান্তে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের হত্যা করা হয়।
২১ বছর আমাদের শুধু আহতদের চিকিৎসা ও লাশ টানতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি
খালেদা জিয়া নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছিলেন।
৩-৪ শতাংশও ভোট পড়েনি।
৩-৪ শতাংশও ভোট পড়েনি। কিন্তু তিনি ভোট চুরি করে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘোষণা
দিয়েছিলেন।
তবে বাংলাদেশের মানুষ এই ভোটচুরি মেনে নেয়নি।
বাংলাদেশের মানুষ ভোট চুরি করলে মেনে নেয় না। কাজেই ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া ভোটচোর হিসেবে
পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
এরপর ১২ জুন যেই নির্বাচন হয়, সেটিতে আমরা জয়ী হয়ে সরকার গঠন করি।
২০০১ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম
শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল আওয়ামী লীগ।

শেখ হাসিনা বলেন, পচাত্তর পরবর্তী সময়ে আমাকে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
আমি জোর করে দেশে ফিরে এসেছিলাম।
আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া দিয়েছিলেন ১২টি আর জরুরি সরকার দিয়েছিল
৬টি মামলা। আমি বলেছিলাম, প্রতিটি মামলার তদন্ত করে আমাকে জানাতে হবে।
আমি দুর্নীতি করতে এখানে আসিনি। আমি মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি, নিজের ভাগ্য না।
আমি ত্যাগ করতে এসেছি, ভোগ করতে না।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।
মাথাপিছু আয় যেখানে খালেদা জিয়ার আমলে ৩৪৩
ডলারের মতো ছিল, আমরা সেটি দুই হাজার ৭৩৯ ডলারে উন্নীত করেছি।
এই যেই ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন- এগুলো আওয়ামীলীগ সরকার করেছে।
আর কারও দ্বারা এগুলো হয়নি, কোনো সরকার এগুলো করেন।

বিশেষ বর্ধিতসভায় আওয়ামী লীগের জাতীয়
কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা, মহানগর ও উপজেলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ
ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং
সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশগ্রহণ করেছেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও
উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।