ঢাকারবিবার , ১১ অক্টোবর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আস‌ছে ক্যাটাগ‌রি প‌রিবর্তন নি‌য়ে তা‌লিকাভুক্ত কোম্পানীর জন্য নতুন নি‌র্দেশনা।

অর্থ‌নী‌তি ডেস্ক।
অক্টোবর ১১, ২০২০ ১:১৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি নতুন নির্দেশনা জারির বিষয়ে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মূলত জেড ক্যাটাগরি সংক্রান্ত কমিশনের সাম্প্রতিক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কিছুটা অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। এটি দূর করতে নতুন আরেকটি নির্দেশনা জারি করা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে জারি করা বিএসইসির আদেশ অনুসারে, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি পরপর ২ হিসাব বছরে নগদ লভ্যাংশ না দিলে তাকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে। যেখানে এর আগের নিয়মানুসারে যে কোন হিসাব বছরে লভ্যাংশ না দিলেই তাকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো হত।

ফলে এখন থেকে কোন কোম্পানি এক বছর কোনো লভ্যাংশ না দিলেও তার ক্যাটাগরি পরিবর্তন হবে না। বিএসইসির নতুন আদেশে শুধু ‘জেড’ ক্যাটাগরি বিষয়েই বলা হয়েছে। সেখানে অন্য ক্যাটাগরির বিষয়ে কিছু বলা হয় নি। এরফলে এ সংক্রান্ত আগের আদেশই বহাল রয়েছে। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দিলে কোম্পানি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থান পাবে।

‘জেড’ ক্যাটাগরি সংক্রান্ত বিএসইসির নতুন আদেশ এবং অন্যান্য ক্যাটাগরি বিষয়ে আগের আদেশ বহাল থাকার কারণে এ বিষয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা ও ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিষয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। ধরা যাক তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি গত ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে এবং ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরে যদি কোম্পানিটি কোন লভ্যাংশ না দেয় তাহলে বিএসইসির নতুন আদেশ অনুসারে তাকে আগের মত ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানিটির ক্যাটাগরি অপরিবর্তিত থাকছে। অন্যদিকে কোম্পানিটি যদি ২০১৯-২০ হিসাব বছরে ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয় তাহলে তার ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়ে ‘বি’ তে নেমে যাবে।

এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ক্যাটাগরি ধরে রাখার জন্য লভ্যাংশ দেয়ার চেয়ে না দেয়াই ভালো। এরইমধ্যে কয়েকটি কোম্পানি ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সামনে অন্যান্য কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। এঅবস্থায় আইনী অস্পষ্টতার সুযোগে কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের ঠকাতে লভ্যাংশ ঘোষণা না করেই ক্যাটাগরি ধরে রাখার সুযোগ নিতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির চেয়ারম্যান বলেন, গত বছর আমরা ১০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিয়েছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে ব্যবসা কমে গেছে এ কারণে এ বছর ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দিতে হবে। বিএসইসির নতুন আদেশ অনুসারে আমি যদি কোন লভ্যাংশ না দেই তাহলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতেই থাকব। আর যদি ১০ শতাংশের কম দেই তাহলে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নেমে যাব। লভ্যাংশ দিয়ে যদি ক্যাটাগরি অবনমন হয় তাহলে তো লভ্যাংশ না দেয়াই ভালো।

এ বিষয়ে কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, এক বছর লভ্যাংশ না দিলে কোন কোম্পানিকে নতুন আদেশ অনুসারে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে না পাঠানো হলেও কোম্পানিটি যদি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকে তাহলে সেটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নেমে যাবে। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দিয়ে ক্যাটাগরি ধরে রাখার সুযোগ নেই।

জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, কভিড-১৯ এর পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোম্পানিগুলোর সুবিধার্থে আমরা এক বছরের পরিবর্তে দুই বছর লভ্যাংশ না দিলে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানোর নিয়ম করেছি। এক্ষেত্রে লভ্যাংশ না দিয়েও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকবে আর লভ্যাংশ দেয়া স্বত্তেও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে চলে যাবে এমন বৈষম্য করার সুযোগ নেই। আমরা এ বিষয়ে নতুন আরেকটি আদেশ দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিব।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।