ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাময়িকভাবে বরখাস্ত কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের বর্তমান সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমের বিরুদ্ধে নৌবাহিনী অফিসারকে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত সোমবার র্যাবের হাতে সাংসদের নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার হন হাজী সেলিম পুত্র। সে মামলায় ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী জাহিদের আজ বুধবার রিমান্ড শুনানিতে আদালত দু’জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত এরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। তাঁদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করেছিলো পুলিশ।
এই রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য আজ তাঁদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে দুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন।
এদিকে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার জানান, ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় আরও চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ইরফানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা ও জাহিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাগুলো করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মামলাগুলো করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিৎ করেন।
এছাড়া, গত সোমবার টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার হওয়া নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধরের মামলার আরেক আসামি এ বি সিদ্দিক ওরফে দীপুকে গতকাল আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁর তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগের দিন এরফানের গাড়ির চালক মিজানুর রহমানকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পায় পুলিশ।
ইতিমধ্যে এরফান সেলিমকে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ এবং অসদাচরণের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে গত রোববার রাতে এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। ঐ রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও গত সোমবার ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ও সাময়িক বরখাস্ত ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ঢাকা-৭ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ হাজী সেলিমের মেঝ ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিম সহ সাতজনের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর অফিসার ক্যাপ্টেন ওয়াসিফ আহমেদ মামলা করেন।