কুয়েতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক হিফযুল কোরআন ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আজ মঙ্গলবার রাতে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (কে ইউ-২৮৪) যোগে যাচ্ছেন বিতর্কিত যাত্রীরা। আগামীকাল বুধবার থেকে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত কুয়েতে এ আন্তর্জাতিক কোরআন ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশের প্রতিযোগিরা আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীতি দাওয়াহ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা চিরাচরিত রীতি নীতি তোয়াক্কা না করে পত্রিকায় কোনো সার্কুলার না দিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিয়ে তড়িঘড়ি প্রার্থী নির্বাচনের নাটক সাজিয়ে তিন জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি হিফযুল কোরআন মাদরাসার প্রিন্সিপাল সাথে আঁতাত করে কুয়েতের কোরআন প্রতিযোগি তিন জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়। ওই প্রিন্সিপালের ছেলে জিবরীল বিন নেছারী প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছে। তার পিতা প্রিন্সিপাল নেছার আহমাদও অভিভাবক হিসেবে কুয়েত যাচ্ছেন। এতে খোঁদ ইসলামিক ফাউন্ডেশনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কুয়েতে কোরআন ও ক্বিরআত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী অপর দু’জন হচ্ছেন, মোহাম্মদ আবু জাফর শাকিল ও সিভিল এভিয়েশনের আবাসিক সেন্ট্রাল জামে মসজিদের সাবেক ইমাম রফিক আহমদ। কুয়েতে আন্তর্জাতিক কোরআন ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় প্রার্থী নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম এবং বকশিসের বিনিময়ে অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে রাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াহ বিভাগের পরিচালক আনিসুর রহমান সরকার ইনকিলাবকে বলেন, এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা বলে কারা ? তিনি বলেন, সময়ের অভাবে পত্রিকায় সার্কুলার দিতে পারিনি তবে অনলাইনে কুয়েতে কোরআন ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতার বিজ্ঞপ্তি দিয়েই প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। কুয়েতে আন্তর্জাতিক কোরআন ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় প্রার্থী নির্বাচনে কোন অনিয়ম হয়নি এবং যথাযথ নিয়ম অনুযায়ীই হয়েছে বলে ইফা পরিচালক দাবি করেন।
