গেল কয়েক মাস ধরে জ্বালানি তেলের সংকটে ভুগছে দেশ। সংকটের কারণে ব্যহত বিদ্যুৎ উৎপাদন। যার প্রভাব পড়েছে প্রতিটি খাতেই। বেড়েছে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের দামও। এই যখন পরিস্থিতি তখন জ্বালানি তেল সাশ্রয়ী হয়েছে দেশ।
সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস বলছে, সরকারের কঠোর সাশ্রয়ী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত কয়েক মাসের তুলনায় আগস্টে প্রধানমন্ত্রীর পরিবহন পুলেও কমেছে সব ধরনের জ্বালানি তেলের ব্যবহার।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পরিবহন পুলে অকটেন ও ডিজেলের ব্যবহার ছিল ৪০ হাজার ৩৯০ লিটার যা আগস্টে কমে ৩৪ হাজার ৮৪১ লিটারে পৌঁছেছে।
প্রধানমন্ত্রীর পরিবহন পুলের পেট্রোল ব্যবহারের তুলনামূলক বিশ্লেষণ তথ্য তুলে ধরে বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়, জুন মাসের তুলনায় আগস্টে জ্বালানি ব্যবহার ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ (৬৫৬১ লিটার) এবং জুলাই মাসে ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমেছে।
এতে বলা হয়, এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পরিবহন পুলে অকটেনের ব্যবহার ছিল ২৯ হাজার ৫৭৯ লিটার। যা মে মাসে কমে আসে ২৮ হাজার ৯১৮ লিটারে। তবে জুনে আবারও বেড়ে ৩০ হাজার ২৮৬ লিটার দাঁড়ালেও জুলাইয়ে প্রায় ৪ হাজার লিটার কমে দাঁড়ায় ২৬ হাজার ৩০২ লিটারে। সবশেষ আগস্ট মাসে সেটি আরও কমিয়ে ২৫ হাজার ৫২৫ লিটারে নিয়ে আসা হয়।
একইভাবে এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রীর পরিবহন পুলে ডিজেলের ব্যবহার ছিল ১০ হাজার ৮১১ লিটার। যা মে মাসে ১১ হাজার ৩৫৯ এবং জুনে ১১ হাজার ১১৬ লিটার ছিল। তবে জুলাই থেকে ডিজেলের ব্যবহার কমে এসে ১০ হাজার ৭০০ লিটার এবং আগস্টে সেটি আরও কমে ৯ হাজার ৩১৬ লিটারে পৌঁছেছে।