প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবীণবান্ধব অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তিনি বয়স্কভাতা কর্মসূচি প্রবর্তন করেন যার আওতায় বর্তমানে ৪৯ লাখ প্রান্তিক প্রবীণ নাগরিক ভাতা পাচ্ছেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ আজ ৩০তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে শাসিত থেকে শাসক বানিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর যারা দেশ পরিচালনা করেছেন তারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে গেছেন। ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে সার্থক করার জন্য অদ্যাবধি কাজ করছেন। তিনি দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে সকল ক্ষেত্রে সফলতা নিয়ে এসেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আজকে যাঁরা প্রবীণ তারাই এক সময় দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁদের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আজকের প্রবীণরাই মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন। প্রবীণদের সম্মানজনক জীবনযাপন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রণীত পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন ২০১৩ ও জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সভায় জানানো হয় , সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পর্যায়ক্রমে প্রবীণদের জন্য আয় সৃষ্টিকারী কার্যক্রম গ্রহণ, তৃণমূল পর্যায়ে প্রবীণদের জেরিয়াট্রিক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ এবং হাসপাতাল নির্মাণ করবে। ইতোমধ্যে, দেশের আটটি বিভাগে প্রবীণদের জন্য প্রবীণ নিবাস নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সরকারি শিশু পরিবারে ২৫ জন করে অসহায় প্রবীণদের আবাসন ব্যবস্থা করা হবে বলেও সভায় জানানো হয়।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।