কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরের উপর চাপ কমাতে বর্ষা মৌসুমের পর নোয়াখালীর ভাসানচরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১ লক্ষ রোহিঙ্গার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।
অনেক যল্পনা কল্পনার পর বাংলাদেশ সরকার দীর্যদিন পর রোহিঙ্গাদের আবাসনের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছালো। সোমবার (২৪ আগস্ট) ঢাকায় রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান বিষয়ক সেমিনারে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “বর্ষা মৌসুমের পর নোয়াখালীর ভাসানচরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটিকে স্থানান্তর করা হবে”।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকার কানাডিয়ান হাইকমিশন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। তিনি জানান, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়, তারা ভালো আছেন। সরকার সেখানে ১ লাখ রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। রোহিঙ্গারা রাখাইনের পরিবেশ নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে না বলেও তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
এসময় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “আমরা শিগগিরই ভাসানচর পরিদর্শন করবো। আমরা বর্ষা মৌসুমের পর মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটিকে প্রাথমিক স্থানান্তর শুরু করার প্রত্যাশা করছি। এতে করে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরের ওপর চাপ কমাবে।” পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, “ভাসানচরে জাতিসংঘের দলও পরিদর্শন করতে আসতে পারে এবং মানবাধিকার কর্মী ও গণমাধ্যমের লোকদের জন্য সরকার আরও পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে পারে।”
পররাষ্ট্রসচিব মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশের অভাব এবং দুটি প্রত্যাবাসন প্রত্যাখ্যানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বিশ্ব নেতৃত্বকে রাখাইনে পরিবর্তন আনতে এবং প্রত্যাবাসন ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়নে মিয়ানমারকে বোঝানোর আহ্বান জানান।
মালেশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সাঈদ হামিদ আলবার, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোইট প্রেফোনটাইন সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।