দেশের বড় অংশ বিদ্যুৎবিহীন। সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকারে ডুবেছে বিদ্যুৎহীন এলাকা। মানুষজন অপেক্ষায় কখন বিদ্যুৎ আসবে। দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার শেষ মুহূর্তে এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে মন্ডপগুলোতেও ধাক্কা লেগেছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয় শুরুর পর থেকে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করেছে। তবে কখন নাগাদ স্বাভাবিক হবে তা এখনো সুনির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না। রাতের মধ্যেই পুরো সমস্যা সমাধান হবে বলে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানী অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের বিষয়ে সংস্থাটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়, আকষ্মিকভাবে অদ্য দুপুর ০২ টা ৫ মিনিটে জাতীয় গ্রিডের ইস্টার্ন অংশে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ) সমস্যা দেখা দেয়ায় অনাকাঙ্খিতভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। পিজিসিবি’র প্রকৌশলীগণ দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় গ্রিড সচল করতে নিবিড় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ সেবা চালু করা হবে বলে আশা করা যায়। পিজিসিবি সহ বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন সকল সংস্থা একযোগে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ওদিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হবে জানিয়ে দেশবাসীকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার পৌনে ৫টার দিকে মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ অনুরোধ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘পিজিসিবিসহ বিদ্যুৎ খাতের সব সংস্থা একযোগে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে’।
মঙ্গলবার রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আমিনবাজার গ্রিড পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। রাত ৮টার মধ্যে ঢাকা শহরের সব এলাকা এবং রাত ৯টার মধ্যে চট্টগ্রামের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।