ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টায় ভূমধ্যসাগর অবৈধ অভিবাসিদের একটি চিরচেনা রুট। সম্প্রতি আরেকটি মর্মান্তিক অভিবাসিদের মৃত্যুর খবর শুনালো জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। এ সপ্তাহের শুরুতে লিবিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৫ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। সে সাথে জীবিত উদ্ধার করা হয় আরও ৩৭ জনকে। স্থানীয় সাগরের জেলেরা জীবিতদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকারীদের সূত্রে জানা যায়, নৌকাটির ইঞ্জিনে বিষ্ফোরন ঘটে নৌকাটি সাগড়ে ডুবে যায়।
জাতিসংঘের সংস্থা দু’টি মারফত আরও জানা যায় যে, উদ্ধারকৃতরা অধিকাংশই সেনেগাল, মালি, চাদ এবং ঘানার নাগরিক। এসব অভিবাসী প্রত্যাশীদের আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রমে ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোর প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করে দেখে আইওএম ও ইউএনএইচসিআর।
ভূমধ্যসাগরে এ মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। চলতি বছরে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৩০২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে (সূত্রঃ আইওএম)
বিপুল সংখ্যক অভিবাসীদের মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসে ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন দেশের নেভি ও কোষ্টগার্ডরা। কিন্তু থামানো যাচ্ছে না ভূমধ্যসাগর রুটে অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর শিকার হয়েছে অন্তত ২০ হাজার জন। সাধারনতঃ দরিদ্র দেশগুলো থেকে এ সব অবৈধ অভিবাসীদের উন্নত জীবনের লোভে ফেলে আন্তর্জাতিক কিছু মানব পাচার চক্র। বেশীর ভাগ সময় ধারন ক্ষমতার চেয়ে দুই গুন তিন গুন যাত্রী নিয়ে নৌকা ও ট্রলার সাগরে ভাসিয়ে দেয় অপরাধী মানব পাচার চক্র। ফলে বেশীরভাগ সময় নৌকা ট্রলার ডুবিতে এধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মাসের পর মাস না খেয়ে উপুস থেকে মৃত্যুর সংখ্যা গুলো থাকে অজানা। কোন অভিবাসী অসুস্থ হলে বা বিদ্রোহ করলে নৌকাতেই মেরে ফেলে সাগরে ফেলে দেয় মানব পাচারকারীরা। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অভিবাসীদের গন্তব্য হয় সাগরে লাশ হয়ে কিংবা নিরাপত্তারক্ষিদের হাতে বন্দি হয়ে।