বিতর্ক এড়াতে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে নেয়া হয়েছিল বিশেষ কৌশল। নেতৃত্ব বাছাইয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বিতর্কমুক্ত নেতাদের। বিশেষ করে ক্যাসিনোকাণ্ডের সঙ্গে যুক্তদের বাদ দেয়া হয়েছে।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে ‘ক্যাসিনো মুক্ত ভূমি দস্যু মুক্ত’ যুবলীগের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে। এই যাত্রায় পরশের সঙ্গী কিছু বিতর্কিত যুক্ত হলেও অধিকাংশ নেতাই বিতর্কের বাইরে যুবলীগকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, পরশের নেতৃত্বে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় বিতর্কিত নেতাদের চিহ্নিত করা হয়। তাদেরকে বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। ঠিক একই ভাবে সারা বাংলাদেশের ওয়ার্ড, থানা, নগর,কমিটি গঠন করা ।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন, আওয়ামী যুবলীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ক্যাসিনো অভিযোগ মুক্ত একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা। সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সফল হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের মাধ্যমে যুবলীগ এক নতুন যাত্রা শুরু করল।
যুবলীগের বিদায়ী কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা বলছেন, নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বিদায়ী কমিটির অধিকাংশ নেতাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের পদায়ন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সাংগঠনিক দক্ষতা বিচক্ষণতাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন সারা বাংলাদেশ , যুবলীগকে সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চাই। যুবলীগকে ক্যাসিনো মুক্ত ভূমি দস্যু মুক্ত দক্ষ যুব সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সংগঠনটির অষ্টম জাতীয় কংগ্রেসে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলামের প্রস্তাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শেখ ফজলে শামস পরশ। ওই কংগ্রেসে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। দীর্ঘ এক বছর পর গত ১৪ নভেম্বর সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।