প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী চাচ্ছেন গৃহিত জনকল্যাণ মূলক কর্মসুচীতে গ্রামের তৃর্নমুল পর্যায়ের মানুষ সুবিধা পাক কিন্তু উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ,ইউপি সদস্য ও সমাজসেবা অধিদপ্তর এর ইউনিয়ন কর্মী আব্দুল জলিল নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তাদের পছন্দের লোকজনের নাম বিধবা ভাতা ও স্বামী নিগৃতা (পরিত্যাক্তা) ভাতায় অন্তরভূক্ত করেছে। যেখানে বিধবা বলতে নীতিমালায় আছে যার স্বামী মৃত্যু বরণ করেছেন, স্বামী নিগৃহীতা বলতে (পরিত্যাক্তা) কিন্তু চলতি অর্থ বছর (২০১৯/২০২০) ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের বিধবা ও স্বামী নিগৃতা ভাতায় যাদের নাম অন্তরভূক্ত করা হয়েছে তাদের বেশি ভাগ ব্যক্তির স্বামী জীবিত আছে।
স্বামীর সাথে সংসার করে আসছেন এমন একাধিক মহিলা বিধবা ভাতা’র টাকা উত্তোলন করেছেন। চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য ও সমাজসেবা অধিদপ্তর এর ইউনিয়ন কর্মী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তাদের পছন্দের লোকজনের নাম বিধবা ভাতা ও স্বামী নিগৃতা (পরিত্যাক্তা) ভাতায় অন্তরভূক্ত করেছে জেনে এলাকাবাসী ০৪/১০/২০ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে মঙ্গলবার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখাগেছে, ৯ নং ওয়ার্ডের জোহরা খাতুন, নুরনাহার খাতুন, মহিলা খাতুন,দেলেজান নেছা সহ আরো অনেকের স্বামী জীবিত আছেন। ৮ নং ওয়ার্ডে দৌলতন নেছা,৫ নং ওয়ার্ডের মাহফুজা আক্তার সহ পুরো ইউনিয়নে আরোও অনেক ব্যক্তির স্বামী এখনও জীবিত আছেন।
স্বামী জীবিত বিধবা ভাতা’র টাকা উত্তোলন করেছেন স্বীকার করে ৯ নং ওয়ার্ডের নুরনাহার খাতুন ও মহিলা খাতুন বলেন, কায়েদ চেয়ারম্যান আমাদের কাছে কাগজ চেয়েছে আমরা দিয়েছি আমাদের নামে কিসের ভাতা হয়েছে তা জানিনা। ৮ নং ওয়ার্ডে দৌলতন নেছ সহ নাম প্রকাশ না করা শর্তে সুবিধাভোগী অনেকে বলেন,বয়স্ক ভাতার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে কাগজ নিয়েছে এখন দেখি বিধবা ভাতা হয়েছে।
এলাকাবাসী অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর এর ইউনিয়ন কর্মী আব্দুল জলিল এর সহযোগিতায়,ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য গণ এমন অনিয়ম করেছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ইউপি সদস্য বলেন,যাদের স্বামী জীবিত আছে তাদের নাম চেয়ারম্যান দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের ভাগের তালিকা দেখলে জানা যাবে কে দিয়েছে নাম।
এ বিষয়ে অত্র ইউপি চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ বলেন,ইউপি সদস্যরা আমাকে তালিকা দিয়েছে আমি বিশ্বাস করে স্বাক্ষর করে দিছি। সমাজসেবা অধিদপ্তর এর ইউনিয়ন কর্মী আব্দুল জলিল বলেন,চেয়ারম্যান আমাকে তালিকা দিয়েছে তাই আমি যাচাই না করে অফিসে জমা দিয়েছি। কেন যাচাই করলেন না? এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেয়নি আব্দুল জলিল।
উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মাহাবুবুল আলম বলেন,তদন্ত চলছে সত্যতা পেলে যাদের স্বামী আছে তাদের নাম কর্তন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল আমিন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।