দালাল দ্বারা প্রতারিত হয়ে যাতে কেউ অবৈধভাবে বিদেশে গমন না করেন সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বিদেশ যাবার বিষয়ে সরকারের বিধি বিধান এবং পরামর্শ মেনে চলার জন্য সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানালেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। গতকাল শনিবার (৩১ শে অক্টোবর) কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।
“সরকার বৈধভাবে বিদেশে যাওয়া ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে” বলেন বিদেশ গমনেচ্ছুদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী ইমরান আহমদ। প্রবাসে অনেকেই দালালদের মাধ্যমে গিয়ে বিপদে পড়েন। সেজন্য আমাদেরকে সর্তক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দালালদের অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে শেখ হাসিনা সরকার এদেশের মানুষের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপ সারাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্নদেশে প্রশংসিত হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়ার ব্যাপারে শেখ হাসিনা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ তিনি এদেশের মানুষকে ভালোবাসেন। সবার জীবন রক্ষার জন্য তিনি এসব পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তিনি মাস্ক বিক্রি বাড়ানোর জন্য এসব উদ্যোগ নেননি। এজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের পরিবার, সমাজ ও দেশকে রক্ষা করতে পারব। মাস্ক পড়ার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রবাসে অনেকেই দালালদের মাধ্যমে গিয়ে বিপদে পড়েন। সেজন্য আমাদেরকে সর্তক থাকতে হবে। দালালদের অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভবিষৎতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে সর্তক থাকতে হবে। অনেক গরীব লোক আছেন যারা দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রতারণা শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
মানুষের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “পুলিশ জনগণের বন্ধু। কোনও সমস্যা দেখা দিলে সবার আগেই ছুটে যায় পুলিশ। সিলেটে চোরাচালান বেড়েছে, এ জন্য জেলা পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশকে আরও সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। সেইসঙ্গে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্ধন। যে বন্ধনটি দিনে দিনে আরও সুন্দর ও মজবুত হচ্ছে।
জেলা পুলিশের থানা গুলোতে যারা কর্মরত রয়েছেন তাদেরকে আগেই বলে দিয়েছি থানায় কেউ আসলে তাকে সম্মান করবেন। এতে করে পুলিশ মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে। ছোটখাটো কোন ঘটনা ঘটলে তা যদি মিমাংসা হয়ে যায় তাহলে থানার কোন পুলিশ অহেতুক হয়রানি করতে পারেবনা। প্রয়োজনে পুলিশকে আরও সহযোগীতা করতে হবে।
