ঢাকামঙ্গলবার , ৭ নভেম্বর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আজ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ৭, ২০২৩ ২:২৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আজ ৭ নভেম্বর। দেশের ইতিহাসে একটি ঘটনাবহুল ও আলোচিত-সমালোচিত দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতার পটপরিবর্তন ঘটে। এর আড়াই মাস পর ৩ নভেম্বর শুরু হয় সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের ঘটনা। এসব ঘটনার একপর্যায়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দী হন। ৭ নভেম্বর অপর এক অভ্যুত্থানে তিনি মুক্ত হন।

বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দিবসটিকে সৈনিক হত্যা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালন করে।

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরকে ঘিরে রয়েছে নানা ঘটনা। জড়িয়ে আছে রক্তপাতের ইতিহাস। এই দিনের জের ধরে কাউকে ঝুলতে হয়েছে ফাঁসিতে। প্রাণ দিতে হয়েছে হাজারো সৈনিককে। এ দিনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার মাত্র ৭৮ দিন পর সেই অশুভ শক্তিই ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার জাতীয় নেতাকে। একে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকা সেনানিবাস।

এ প্রেক্ষাপটে ৩ থেকে ৭ নভেম্বর সামরিক বাহিনীর মধ্যে একাধিকবার অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। ৭ নভেম্বর সংঘটিত এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) আবু তাহের বীরউত্তম। বন্দিদশা থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেন তিনি।

কিন্তু এরপর দ্রুত নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে পুনরায় সেনাপ্রধানের পদে আসীন হন জিয়া। জিয়াউর রহমান প্রথমে উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদ দখল করেন। একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ আবু সায়েমকে সরিয়ে রাষ্ট্রপতি হন জিয়া। তবে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা সুসংহত হওয়ার পর দেশদ্রোহের অভিযোগে কোর্ট মার্শালের বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় কর্নেল তাহেরকে। তিনি ছিলেন তৎকালীন বিপ্লবী গণবাহিনীর প্রধান।

গত ৪৫ বছরের অধিকাংশ সময় দিবসটি সরকারিভাবে পালিত হয়েছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দিবসটি ছিল সরকারি ছুটির দিন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে আবারও দিনটিতে সরকারি ছুটি বহাল করা হয়।

২০০৭-এ ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ২০০৬ সালের সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সে বছর দিনটিতে সরকারি ছুটি বহাল ছিল। তবে পরের বছর ২০০৮ সালে ছুটির তালিকা থেকে দিবসটি বাদ রাখা হয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপটে ২০০৯ সাল থেকে দিনটিতে সরকারি ছুটি পালিত হচ্ছে না।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।