শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আবারও করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। শনিবার রাত সোয়া ৯টায় তাঁকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, সিসিইউতে নেওয়ার পর নতুন করে ইসিজি, এক্স-রেসহ কয়েকটি টেস্ট করা হয়েছে। প্যারামিটারগুলো ওঠানামা করছে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য আরও জানান, এর আগেও কয়েকবার খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা শেষে আবার কেবিনে নিয়ে আসা হয়। এখন অবস্থা ভালো-খারাপ কোনোটাই বলা যাবে না। বোর্ড তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে এখনও উদ্বিগ্ন। তিনি শঙ্কামুক্ত নন। যে কোনো সময় পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ওই চিকিৎসক জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন শারীরিক দুর্বলতা থাকায় অনেক ওষুধ খেতে চান না। আর উনাকে সব সময় স্যালাইন ও ইনজেকশনের ওপর থাকতে হচ্ছে। দুই দিন আগে রক্তের হিমোগ্লোবিনও কিছুটা উন্নতি হলেও ফের কিছুটা কমছে। ইনসুলিন দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই চিকিৎসক জানান, নানা এন্টিবায়োটিকের মাধ্যমে লিভারের সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। কিছু রিপোর্ট একাধিক হাসপাতালে টেস্ট করা হচ্ছে। লিভারের পাশাপাশি তাঁর কিডনি জটিলতা ও ডায়াবেটিসের মাত্রাও বাড়ছে। কিডনির ক্রিয়েটিনিন মাঝেমধ্যে বর্ডার লাইনের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। ফলে একটিকে কমাতে গেলে আরেকটিতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের শয্যার পাশে এখন রয়েছেন তাঁর ছোট পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি। ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া কিডনি, ফুসফুস, হৃদরোগ, লিভার জটিলতায় ভুগছেন।
