এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কিছু সরকারি গাড়ির বিনামূল্যে পাস থাকলেও নেই জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের পাস। তাদেরকে টোল দিয়েই এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে হয়। প্রশ্ন ওঠেছে, জরুরি প্রয়োজনে টোল আগে না সময় আগে। তবে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে সাম্প্রতিক এই দুর্ঘটনা।
বৃহস্পতিবার ঈদের দিন বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকার। অল্প সময়ের মধ্যেই গাড়িতে জ্বলে উঠে দাউ দাউ করে আগুন। সেই আগুনে অল্প সময়ের মধ্যেই গোটা গাড়িটি পুড়ে প্রায় ছাই হয়ে যায়।
জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসতে আসতে মাত্র ২৫ মিনিটেই পুড়ে যায় গাড়িটি। আগুন নেভাতে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগার কথা পাঁচ মিনিট। কিন্তু রাস্তায় সময় লেগেছে প্রায় ২০ মিনিট। এর মধ্যে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেদিন টোল ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা এনে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট। জরুরি কলে সাড়া দেয়ার সময় তাদের কাছে কখনও নগদ টাকা থাকে না। ফলে টাকা জোগাড়ে সময় লেগেছে।
এদিকে এক্সপ্রেসওয়েতে বৃহস্পতিবার গাড়িতে আগুন লাগার কারণ জানিয়েছে পুলিশ। গাড়িটির মালিক আল আজমি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু শাহরিয়ার। গাড়িটি হাইব্রিড (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের সমন্বয়ে চালিত গাড়ি)।
আবু শাহরিয়ার তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে গাড়িতে ঘুরতে বের হন। তারা রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাসা থেকে বেরিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ধরে শাহজালাল বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন শাহরিয়ারের ভাই। একপর্যায়ে গাড়িটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় আগুন ধরে যায়।
আগুন গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ার আগে তাঁরা সবাই নিরাপদে নেমে যান। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর একটি গাড়িতে তারা আগুন লাগার খবর পায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভালেও গাড়িটি পুড়ে গেছে।