ঈদের রাতে বিল্লালুর রহমান নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় ধরে এনে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মনিরামপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
ছাত্রলীগ নেতা বিল্লালুর রহমান গাজীপুর সরকারি কলেজ থেকে সদ্য মাস্টার্স শেষ করেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।
এদিন রাতে ইকবাল হোসেন নামের আরও এক যুবলীগ নেতাকেও ধরে এনে মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে মনিরামপুর থানায় সদ্য যোগদানকারী ওসি (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
এমডি বিল্লালুর রহমান উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নূর আলীর ছেলে এবং ইকবাল হোসেন মাছনা গ্রামের স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ছেলে।
জানা যায়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যর ছবি সংবলিত লেখার ওপর কালি লেপটে দেওয়ায় অভিযোগ তুলে সন্দেহভাজন হিসেবে বাড়ি থেকে থানায় ধরে আনা হয় তাদের।
মারধরের শিকার বিল্লালের মা খাদিজা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ঈদের রাতে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ বড় ছেলেকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারাও থানায় চলে আসেন। কী অপরাধে ছেলেকে ধরে আনা হয়েছে জানতে চাইলে পুলিশ দুর্ব্যবহার করে। পরে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছেলের জন্য খাবার আনতে বাড়িতে যান। ফিরে এসে দেখতে পান হাত-পা ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় পুলিশের গাড়ি থেকে ছেলে বিল্লালকে নামানো হচ্ছে।
এ সময় পুলিশের কাছে জানতে চাইলে বিল্লালের পেট খারাপ করায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। কিন্তু পরে দেখতে পান তার ছেলেকে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
মারধরের শিকার যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেনের বাবা তরিকুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ছবিতে কালি লেপটে দিয়েছে। যার দায়ভার ছেলের ওপর চাপিয়ে ঈদের রাতে বাড়ি থেকে থানায় তুলে এনে মারধর করে পুলিশ।
থানায় গিয়ে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে মারধরের শিকার বিল্লালুর রহমানের কথা হয়। তিনি জানান, থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাস হকিস্টিক দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাস মারধরের কথা অস্বীকার বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও একজন সম্মানিত ব্যক্তির ছবি এবং লেখার ওপর কালি দেওয়ার অভিযোগে তাদের ধরে আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অনুপ কুমার বসু বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বিল্লালের বাম হাত ভেঙে গেছে। তবে এক্স-রে রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মনিরামপুর থানার ওসি এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, আটক দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সূত্র: কালবেলা।