জেলায় দেশি ফলের চাহিদা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন- বিদেশী ফল আগের চেয়ে আমদানি কম হওয়ায়দাম বেশি, তাই এখন দেশী ফলের কদর বেড়েছে। অন্যদিকে বাজারে দেশি ফলের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে।
বাজারে দেশি ফলের মধ্যে রয়েছে- আমড়া, জাম্বুরা, পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, কদবেল, বাতাবি লেবু, ও কলা। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক হারে বর্তমানে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল ও সবুজ মাল্টা। এসব ফলের চাহিদাও বাড়ছে বাজারে।
জেলার রাজগঞ্জ, রাণীরবাজার, টমছমব্রিজ, বাদশা মিয়াবাজার এলাকার ফলের দোকানগুলোতে দেখা যায় আনারস, আমড়া, পেঁপে, কলা, কদবেল, জাম্বুরা এসবও প্রচুর রয়েছে।
পেয়ারা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, আনারস প্রতিটি ৫০ টাকা, পাকা পেঁপে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, জাম্বুরা আকার ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে। ফলের দোকানের পাশাপাশি ভ্যান গাড়িতে করেও এসব দেশি ফল কুমিল্লার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাও বিক্রি হচ্ছে।
টমছমব্রিজ এলাকার ফল ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বাসসকে জানান, বর্তমানে বাজারে দেশে উৎপাদিত নানা জাতের ফল রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- আনারস, পেয়ারা, আমরা, কদবেল, ড্রাগন ফল ও সবুজ মাল্টা। বর্ষা মৌসুমে এমনিতেই বাতাবি লেবু ও আনারসের চাহিদা বেশি থাকে। তার ওপর ড্রাগন ফল ও সবুজ মাল্টা কিছুটা ফলের বাজার দখল নিয়েছে। আমদানি করা মাল্টার কেজি যেখানে ২২০ টাকা সেখানে দেশে উৎপাদিত সবুজ মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এ জন্য দেশি ফলের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে।