মায়ের মমতায় দেশ চালান বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানুষই তাকে ভালোবেসে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন। কখনোই তিনি ভাবেননি এই পদ অনেক কিছু।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে দেশি-বিদেশি নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুবই সাধারণ মানুষ। মনে করি, এটা মানুষকে সহায়তার একটা সুযোগ। তাই পরবর্তী পাঁচ বছর হবে অর্থনৈতিকভাবে মানুষকে আরেকটু ভালো রাখার জন্য।’
মার্কিন পর্যবেক্ষকের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের সঙ্গেই আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে। তবে আমাদের দিক থেকে তো কোনো সমস্যা নেই। আপনার কী মনে হয় না যে, এই নির্বাচন আপনাদের দেশের চেয়ে ভালো হয়েছে। আমি কারও ওপর কখনো প্রতিশোধ নেই না।’
বিবিসির সাংবাদিকের প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেক দলের নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রয়েছে। তারা (বিএনপিকে ইঙ্গিত করে) মানুষ মারছে, তারা তো রাজনৈতিক নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে। তাদের কর্মসূচি তো মানুষ গ্রহণ করে না। এবার করেনি। আমরা মনে করি, মানুষ এই নির্বাচনে এসেছে। জনগণের অংশগ্রহণই বড় কথা। যারা নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করছেন, সেটা তাদের স্বাধীনতা। আমার আত্মবিশ্বাস রয়েছে।’
শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রম আদালতের রায়ে ড. ইউনূস সাজা পেয়েছেন। এখানে আমার তো কিছু করার নেই।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ে দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি। ঢাকার সঙ্গে দেশগুলো সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় জানায়। এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অভিনন্দন জানিয়েছেন। সাক্ষাৎ করেছেন বিজয়ী প্রার্থীরাও।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্তিতস্কিও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনাকে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারত, ভূটান, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান, মরক্কো, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতরা। ডিন অব দ্যা ডিপ্লোমেটিক কোর, আগা খান ডিপ্লোমেটিক রিপ্রেজেনটেটিভের প্রতিনিধিরা শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের ধন্যবাদ জানান। দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় বন্ধু রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতা কামনা করেন।
