আগামী ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু টানেল। চলতি মাসের শেষে বা আগামী মাসের শুরুতে টানেল দিয়ে শুরু হবে যানবাহনের ট্রায়াল রান।
আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে উদ্বোধন সংক্রান্ত এক প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানান সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন।
এ সময়ের মধ্যেই পুলিশ, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী টানেল এলাকায় যানবাহন চলাচলে নির্দেশনা তৈরির কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অবশেষে শেষ হতে চলছে এক মধুর অপেক্ষা।
দক্ষিণ এশিয়া তথা দেশের প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে টানেলের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে।
সবকিছু ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রী সশরীরে এসেই উদ্বোধন করবেন টানেল।
উদ্বোধনী আয়োজনে টানেলের দুই প্রান্তে ফলক উন্মোচনের পাশাপাশি আনোয়ারা প্রান্তে সুধী সমাবেশে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী।
টানেলের উদ্বোধন ঘিরে বেশ জোরেশরেই প্রস্তুতি শুরু করেছে সেতু বিভাগ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে নিয়ে আলোচনায় বসে তারা।
সেখানে নানা চ্যালেঞ্জ আর সম্ভাবনা নিয়ে লম্বা আলোচনা চলে দুপুর পর্যন্ত।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতুবিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, “টানেলের মধ্যে জনসাধারণের জন্য নির্দেশনা ব্যবস্থা থাকবে এবং সেখানে ৮টি রেডিও চ্যানেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দেশনাগুলো চলতে থাকবে।
টানেলের ভেতর যেই ফ্রিকুয়েন্সি থাকুক না কেন, গাড়ি যতক্ষণ টানেলে থাকবে ততক্ষণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ দিক নির্দেশনা চলবে”।
“টানেলে কোন গাড়ি চলতে পারবে এবং কোনটি চলতে পারবে না সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
টোল হার নির্ধারণ হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ এসেছে যা আমরা বিবেচনা করছি,” বলেন সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেন।
বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ জানান, “ইতোমধ্যে টানেলের বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির কমিশনিং শেষ হয়েছে।
শীঘ্রই শুরু হবে যানবাহনের ট্রায়াল রান। সামগ্রিকভাবে প্রকল্পের ৯৮.৫ শতাংশ কাজ শেষ। বাকি কাজ শেষ না হলেও যান-চলাচলে কোনো বাধা তৈরি হবে না”।
টানেলের নিরাপত্তা, যান ও মানুষের বিচরণ নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে পুলিশও।
উদ্বোধনের আগে বেশ কিছু বিষয়ে পর্যবেক্ষণ রয়েছে তাদের। পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির পরামর্শও দিয়েছে তারা।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, “টানেল সার্বিক অবস্থা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
এখানে যেসব যানবাহন চলাচল করবে সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর থাকবে”।
এদিকে টানেল নিয়ে কোন মিথ্যা –নেতিবাচক খবর রটালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার।