ঢাকাশুক্রবার , ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গ্যাসের অভাবে জ্বলছে না চুলা, কমছে কারখানার উৎপাদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩ ১০:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শীত আসতে না আসতেই প্রকট আকার ধারণ করতে শুরু করেছে গ্যাস সংকট। ফলে রাজধানীর বহু বাসাবাড়িতে জ্বলছে না রান্নার চুলা। অন্যদিকে, কলকারখানায়ও উৎপাদন কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। পেট্রোবাংলার হিসাবে বর্তমানে চাহিদার অন্তত ৪০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে উৎপাদনে। যার মূল কারণ এলএনজির সরবরাহ এক তৃতীয়াংশে নেমে যাওয়া। এ নিয়ে স্বস্তির খবর দিতে পারেনি করপোরেশন।

রাজধানীর এক্সেল একাডেমির শিক্ষার্থী ইনাইয়া ও ইহানকে প্রায়ই স্কুলে যেতে হয় না খেয়ে। কারণ, সকাল না হতেই চুলা থেকে উধাও হয়ে যায় গ্যাস। জিগাতলার খন্দকার নিবাসের বাসিন্দা ডা. সুলতান আরার নাতি-নাতনি তারা। শীতের শুরু থেকে গ্যাসের তীব্র সংকটে ভুগছে পরিবারটি। ফলে মাঝেমধ্যেই বন্ধ রাখতে হয় রান্নাবাড়া। ডা. সুলতান আরা বলেন, আগে এই সমস্যা ছিল না। বছরপাঁচেক থেকে ধীরে ধীরে সমস্যা বাড়ছে। শীতকালে সকালে ঠান্ডা বেশি থাকলে গ্যাস থাকে না। অবশ্য গরমে এত সমস্যা হয় না।

একই অবস্থা জিগাতলার নতুন সড়কের প্রায় ৫৯টি বাড়ির। ভুক্তভোগীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না সমাধান। এক গ্রাহক বলেন, সকালে অনেকসময় নাশতা করা যায় না। সেটা দুপুরে করতে হয়। এজন্য আগের দিন প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয়। আরেক ভুক্তভোগী বলেন, গ্যাস না পাওয়ায় কারেন্ট চুলা ব্যবহার করি। ফলে মাসশেষে বিদ্যুতের বিল বেশি আসে। তাতে আমাদের সবদিক থেকেই লোকসান হচ্ছে।

গ্যাস সংকটে অন্তত ২৫ শতাংশ উৎপাদন কমেছে মিরপুরের এ প্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। উদ্যোক্তারা বলছেন, এলপিজি ব্যবহার করেও স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না উৎপাদন। এ প্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহজাহান সাজু বলেন, আগে আমরা ২০ হাজার পণ্য উৎপাদন করতাম। এখন সেটা করতে পারি ১৬ থেকে ১৭ হাজার। এই এলাকায় গ্যাসের প্রচুর সমস্যা।

পেট্রোবাংলার হিসাবে বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৪০০ কোটি ঘনফুট। বিপরীতে ১৩ ডিসেম্বর জোগান দেয়া গেছে মাত্র ২৪৪ কোটি ঘনফুটের। ফলে ঘাটতি ছিল চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ। যার মূল কারণ দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে এলএনজির পর্যাপ্ত সরবরাহ। আর এমন অবস্থা থেকে শিগগিরই উত্তরণ ঘটার সম্ভাবনাও কম।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আবদুল মান্নান পাটওয়ারী বলেন, ২০১৮ সাল থেকে এলএনজি আমদানি করে আমরা জাতীয় গ্রিডে দিচ্ছি। এটা এখনও বিদ্যমান আছে। ২০২৬ সালের পর গ্যাসের চাহিদা বাড়বে। স্থানীয় জোগানের সঙ্গে এলএনজি আমদানি করে সেটা মেটানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

পেট্রোবাংলার হিসাবে গত বুধবার ১০০ কোটি ঘনফুট সক্ষমতা ছিল। বিপরীতে এলএনজি থেকে পাওয়া যায় মাত্র ৩৬ কোটি ঘনফুট।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।