সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
কক্সবাজারের ইনানীতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যদের হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বিজিবি প্রধান। এসময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েসহ দুই দেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিজিবির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, একজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ৩৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিককে সেদেশের বিজিপির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিন ভোর থেকে বিজিবি সদস্যদের কঠোর পাহারায় ঘুমধুম থেকে ছয়টি গাড়িতে করে ১৬৪ জনকে ইনানী সৈকতে আনা হয়। অপর ১৬৬ জনকে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আনা হয়। হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর পর্যটকবাহী দুটি জাহাজে করে তাদের গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাহাজে নেওয়া হয়।
বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘সীমান্তবর্তী জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় সীমান্তে বিজিবির টহল ও জনবল বাড়ানো হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে বিজিবি সীমান্তের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি যাই হোক, সীমান্ত দিয়ে আর একজন মিয়ানমার নাগরিককেও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’
