আমার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়গুলো এসেছে একটি কারচুপিপূর্ণ ট্রাইব্যুনাল থেকে। এটি প্রতিষ্ঠা করেছে একটি অনির্বাচিত সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছে গণতান্ত্রিক বৈধতাহীন ব্যক্তি। এই রায়গুলো পক্ষপাতদুষ্ট, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মৃত্যুদণ্ডের রায় স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে যে, অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে থাকা চরমপন্থী শক্তিগুলোর লক্ষ্য হলো আমাকে বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া এবং আওয়ামী লীগকে একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিশ্চিহ্ন করা।
ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বিশৃঙ্খল, সহিংস ও সমাজবিরোধী শাসনের অধীনে কষ্টে জীবনযাপন করা লাখো বাংলাদেশি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছে যে, এই তথাকথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) বিচার কখনোই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ছিল না। ২০২৫ সালের জুলাই–আগস্টের ঘটনাবলি সম্পর্কে সত্য উদঘাটন নয়, এর প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগকে দায়ী করা এবং বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ড. ইউনূস ও তার মন্ত্রিপরিষদের ব্যর্থতা থেকে সরিয়ে নেওয়া।
তার নেতৃত্বে সরকারি সেবা ধসে পড়েছে। পুলিশ দেশের অপরাধপ্রবণ রাস্তাগুলো থেকে কার্যত সরে গেছে, বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে; আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর একের পর এক হামলা ঘটছে শাস্তিহীনতার সংস্কৃতির কারণে। হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বারবার আক্রান্ত হচ্ছে, নারীর অধিকার পদদলিত হচ্ছে। প্রশাসনের ভেতরে হিযবুত তাহরীরের মতো ইসলামী চরমপন্থী গোষ্ঠীর অনুপ্রবেশ দেশের দীর্ঘদিনের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় ঐতিহ্যকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
একই সঙ্গে সাংবাদিকদের কারাগারে আটকে রাখা, ভয় দেখানো, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পতন, এবং সবচেয়ে উদ্বেগজনক ইউনূস কর্তৃক নির্বাচন বারবার পেছানো ও বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষিদ্ধ করা এসবই ঘটেছে প্রকাশ্যে।
এই সবকিছুই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থা এবং আইএমএফ-এর মতো নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন দ্বারা নিশ্চিত সত্য। আমি ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক প্রশংসকারীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—বাংলাদেশের একজন নাগরিকও তাকে নির্বাচিত করেনি বা করার সুযোগ পায়নি। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তার জনগণের হাতে; এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই মুক্ত, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও সবার জন্য উন্মুক্ত হতে হবে।
স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি, আইসিটিতে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো আমি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করি। গত বছর জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে যত মৃত্যু ঘটেছে, সেসবের জন্য আমি গভীরভাবে শোকাহত।। কিন্তু আমি কিংবা দেশের কোনো রাজনৈতিক নেতা কখনোই বিক্ষোভকারীদের হত্যার নির্দেশ দিইনি।
আমি আরও উল্লেখ করতে চাই—আদালতে আমাকে নিজের অবস্থান ন্যায্যভাবে তুলে ধরার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি আমার অনুপস্থিতিতে আমার পছন্দের আইনজীবী দিয়ে প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি।
যদিও এর নাম “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল”, বাস্তবে আইসিটির সঙ্গে আন্তর্জাতিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি কোনোভাবেই নিরপেক্ষ বা স্বাধীন নয়। নিচের অকাট্য সত্যগুলো বিবেচনা করলেই এর প্রকৃত উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে যায়:
আমার বিরুদ্ধে রায় আগেই নির্ধারিত ছিল।
বিশ্বের কোনো প্রকৃত সম্মানিত বা পেশাদার বিচারক বাংলাদেশের এই আইসিটিকে সমর্থন করবেন না।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যে আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, আজ তা ব্যবহার করা হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নিতে। সেই সরকারের বিরুদ্ধে, যে সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিরামহীনভাবে কাজ করেছে।
আমি আমার অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে কোনো ভয় পাই না। শর্ত একটাই: বিচারটি হতে হবে একটি প্রকৃত, স্বাধীন ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ট্রাইব্যুনালে, যেখানে প্রমাণ ন্যায়সংগতভাবে যাচাই ও পর্যালোচনা করা হবে। সেই কারণেই আমি বারবার অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি এই অভিযোগগুলো হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) উপস্থাপন করতে।
অন্তর্বর্তী সরকার কখনো এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে না কারণ তারা জানে, আইসিসি আমাকে খালাস দেবে। একই সঙ্গে তারা আশঙ্কা করে যে, আইসিসি তাদের নিজেদের ক্ষমতাকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ডও খতিয়ে দেখবে।
আমাদের সরকার ছিল জনগণের ভোটে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত, এবং আমরা শুধুমাত্র তাদের কাছে জবাবদিহি করতাম। নির্বাচনের সময় আমরা তাদের কাছে ম্যান্ডেট চেয়েছি, এবং ক্ষমতায় থাকাকালে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি হতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে সর্বদা সতর্ক থেকেছি।
অন্যদিকে ড. ইউনূস অসাংবিধানিকভাবে এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর প্রত্যক্ষ সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছেন। তার শাসনে ছাত্র, গার্মেন্টস শ্রমিক, চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির প্রতিটি আন্দোলন–বিক্ষোভ দমন করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে নির্মমভাবে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। যারা এসব অন্যায়ের খবর প্রকাশ করেছেন সেই সাংবাদিকরা হয়রানি, নিপীড়ন ও হামলার শিকার হয়েছেন।
ক্ষমতা দখলের পর ইউনূসের বাহিনী গোপালগঞ্জে হত্যাযজ্ঞ ও হামলা চালায় এবং আহত ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা দেয় নির্যাতিতকে অপরাধী বানিয়ে। সারা দেশে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সমর্থকের বাড়িঘর, ব্যবসা ও সম্পত্তি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত এই প্রতিশোধমূলক হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গণপিটুনি যা ইউনূসের পরিকল্পিত নির্দেশে সংঘটিত হয়েছে। এসব অপরাধের দায়ীদের সম্পূর্ণ দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বরং আইসিটির আপোষহীন প্রধান প্রসিকিউটর এই সাজানো আদালতে মিথ্যা তথ্য পেশ করে প্রতিটি অপরাধের বোঝা আওয়ামী লীগ সদস্যদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। সন্ত্রাসী, চরমপন্থী ও দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, আর কারাগার ভরে উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দিয়ে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সম্পর্কে
আমি আগেই বলেছি, গত বছরের জুলাই-আগস্টে যা ঘটেছে, তা আমাদের দেশের জন্য এক গভীর ট্র্যাজেডি এবং যে পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জন হারিয়েছে, তাদের জন্য অসীম বেদনার। বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, তা নিয়েছিলাম সৎ উদ্দেশ্যে এবং প্রাণহানি যতটা সম্ভব কমানোর লক্ষ্য নিয়ে। পরিস্থিতি এমনভাবে দ্রুত অবনতি হয়েছিল যে তা আমাদের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেই প্রেক্ষাপটে ঘটনাগুলোকে পরিকল্পিতভাবে নাগরিকদের ওপর আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করা বাস্তবতাকে বিকৃত করার সমান।
তাদের ভয়াবহ অভিযোগ সত্ত্বেও আইসিটির প্রসিকিউটররা কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দিতে পারেননি যে আমি জনগণের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলাম। যে ট্রান্সক্রিপ্ট ও অডিও ফাইলগুলোকে প্রমাণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, সেগুলো খণ্ডিত, বিকৃত এবং প্রেক্ষাপট থেকে বিচ্ছিন্ন। সত্য হলো—অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ ছিল মাঠের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে, এবং তারা প্রচলিত আইনি প্রটোকলের অধীনে দায়িত্ব পালন করছিল।
৬ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ছাত্রদের সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, এবং সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিল। আমি তাদের সমস্ত দাবি মেনে নিয়েছিলাম।
কিন্তু জুলাইয়ের মাঝামাঝি পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হতে শুরু করে। কিছু বিক্ষোভকারী গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ অবকাঠামো ভাঙচুর করে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে থানা ও অন্যান্য সরকারি ভবন পুড়িয়ে দেওয়া হয়, অস্ত্র লুট করা হয়, এবং সরকারি স্থাপনায় সংগঠিত হামলা চালানো হয়। এমন সহিংসতার মুখে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সংবিধান রক্ষা করা এবং নাগরিকদের জানমালের সুরক্ষা দেওয়া—এসব দায়িত্ব পালনে সরকার বাধ্য হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
আইসিটির প্রসিকিউটররা দাবি করেছেন যে, সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। অথচ বিভিন্ন ছাত্রনেতা প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন যে এসব অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা তাদের নিজস্ব কর্মীদের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছিল।
প্রসিকিউটররা যে অন্যান্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন, সেগুলোও প্রশ্নবিদ্ধ। তারা বারবার জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়েছেন—যা প্রকৃতপক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের চাপে থাকা সরকারি কর্মীদের নাম-না-প্রকাশ্য সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই সাক্ষীদের অনেকে নিজেদের অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত অথবা তাদের জোর করে মিথ্যা বয়ান দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আরও উদ্বেগজনক হলো—যে রেকর্ডগুলো আওয়ামী লীগ সদস্যদের নির্দোষতা প্রমাণ করতে পারত এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ঘনিষ্ঠদের অপরাধ জড়িত থাকার প্রমাণ দিতে পারত, সেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে জাতিসংঘ পরিদর্শকদের কাছ থেকে গোপন করা হয়েছে।
এই সহিংসতার আরও বেশ কিছু রহস্যময় দিক রয়েছে, যেগুলো আজও ব্যাখ্যাতীত এবং সম্ভবত অন্তর্বর্তী সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে আড়াল করে রেখেছে। বিশেষত অভিযোগ রয়েছে যে, জুলাই আন্দোলনের শুরুতেই কিছু সংগঠিত উস্কানিদাতা জনতার ভেতরে সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন সাক্ষীর বয়ান ও ফরেনসিক প্রমাণ ইঙ্গিত দেয় যে, এই উস্কানিদাতারা সামরিক মানের অস্ত্র ও গোলাবারুদ—যেমন ৭.৬২ ক্যালিবারের গুলি—ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে, সহিংসতা বাড়িয়েছে এবং জনরোষকে সরকারের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে।
আমি ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই হাইকোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। কমিটি কাজ শুরু করেছিল, কিন্তু ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই তিনি হঠাৎ করে সেই তদন্ত বন্ধ করে দেন।
জাতিসংঘের বহুল উদ্ধৃত এক হাজার ৪০০ মৃত্যুর হিসাবও বিতর্কিত। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যাচাইকৃত সংখ্যা হলো ৮৩৪ জন। এতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার অযাচাইকৃত তথ্য যোগ করা হয়েছে—যার মধ্যে বিক্ষোভকারীদের হাতে নিহত পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগ কর্মীদেরও ‘বিক্ষোভে নিহত’ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে। বাস্তবে রাষ্ট্রীয় সহায়তা পেয়েছে মাত্র ৬১৪টি পরিবার, যাদের নিহত সদস্যদের স্বীকৃতি রয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদপত্রের তদন্তে উঠে এসেছে যে, নিহতদের সরকারি তালিকায় উল্লেখ করা ব্যক্তিদের মধ্যে ৫২ জন আসলে গুলিতে মারা যাননি—তারা অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক অন্যান্য কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। এমনকি যাদের প্রায় ১৯ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল, পরে তাদের জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ফলে পুরো মৃত্যুর হিসাবই অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর। তবুও অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি মৃত্যুতালিকা প্রকাশ করে বিষয়টি পরিষ্কার করতে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে আসছে।
আইসিটির মানবাধিকার লঙ্ঘনের বাকি অভিযোগগুলোও আমি একইভাবে প্রমাণহীন ও ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করছি।
আমি আমার সরকারের মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়ন–অর্জন নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত। আমরাই ২০১০ সালে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিটি) যোগদান করিয়েছি। আমরাই মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছি এবং লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষায় মানবিক আশ্রয় দিয়েছি। আমরা বিদ্যুৎ ও শিক্ষার প্রাপ্যতা অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি করেছি, এবং ১৫ বছরে জিডিপি ৪৫০% বাড়িয়ে কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার ওপরে তুলেছি। এই অর্জনগুলো ইতিহাসের অংশ। এগুলো এমন কোনো সরকারের পরিচয় নয় যারা মানবাধিকারকে অবহেলা করে।
অন্যদিকে ড. ইউনূস ও তার প্রতিহিংসাপরায়ণ সহযোগীদের নামে এমন কোনো সাফল্য নেই যা এই অর্জনগুলোর কাছাকাছিও আসে।
