কোরবানির সময় ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনার ব্যবস্থা করা যায় কি না সে বিষয়ে দেশটিকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। তবে ব্রাজিল মাংস পাঠানোর বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।
রোববার ঢাকার একটি হোটেলে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে মাংস নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর সাংবাদিকেদর টিটু বলেন, ওদের (ব্রাজিল) দিক থেকে প্রাণিজ প্রোটিনটা ফোকাসে ছিলো। বিশেষ করে মাংসে। আপনারা জানেন, ব্রাজিল অত্যন্ত কম দামে মাংস উৎপাদন করতে পারে, রপ্তানি করতে পারে। এ ব্যাপারে তারা কথা বলেছে।
তিনি বলেন, আমরা আগামী কোরবানি সামনে নিয়ে, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছি, যদি সস্তাই হয়- আমাদের দেশে লাইভ ক্যাটল আনার ব্যবস্থা করা যায় কি না। তারা বলেছে, দেখবে।
দুদিনের সফরে রোববার সকালে ঢাকায় পৌঁছান ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। এ সফরে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে এনেছেন তিনি।
ওই বৈঠকে দুদেশের আমদানি-রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে বিভিন্ন বিষয়ে খাতভিত্তিক আলোচনা হওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গরু বা গরুর মাংস আমদানির বিষয়টি বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।
কেমন দামে ব্রাজিল মাংস দিতে চায়, জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আগে যদি আমদানি অনুমোদন করি, তাহলে দাম নিয়ে, হেলথ সার্টিফিকেশন, লাইসেন্সিং- এগুলো নিয়ে আলাপ হবে। আমাদের এখানে প্রাণিজ আমিষ আমদানি রেস্ট্রিকটেড। পোল্ট্রি এবং অন্য মাংস আমরা আমদানি করি না। আমরা স্টাডিগুলো করে নিই। করার পরে দেখা যাবে যে, কোন প্রাইস কতটুকু আনা হবে।
ব্রাজিল থেকে আমদানি করা তুলায় তৈরি পোশাক দেশটির বাজারে গেলে তাতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার দাবি ভিয়েরার কাছে তুলে ধরার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশের ডিউটি ফ্রি অ্যাকসেসটা চাই। ওদের থেকে যে তুলাটা নিয়ে আসতেছি, সেই তুলার তৈরি গার্মেন্টস যেন আমরা ডিউটি ফ্রি অ্যাকসেস পাই।
এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, “ব্রাজিলও অগ্রসরমান অর্থনীতি, তারাও তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে সুরক্ষা দেয়। গার্মেন্টসটা তাদের সংরক্ষিতই। শুধু বাংলাদেশ এবং চীন থেকে নেয়, বাকিটা স্থানীয়ভাবে করার চেষ্টা করছে।