ঢাকাসোমবার , ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পোশাকখাতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুযোগ নেই যুক্তরাষ্ট্রের। বিকেএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১১, ২০২৩ ৯:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পোশাক শিল্পের কারখানায় শ্রম ইস্যুতে শর্ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে না। সুতরাং শ্রমিকের অধিকার নিয়ে পোশাকখাতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা (ট্রেড স্যাংশন) দেওয়ার সুযোগ নেই যুক্তরাষ্ট্রের। এমনকি একই ইস্যুতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেখানোর মত সাহসও নেই দেশটির। তবে রাজনৈতিক ইস্যু বা ভিন্ন স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা দিলে শ্রমিকের ও দেশের ক্ষতি হবে। যা কূটনীতিক উপায়ে সরকার সমাধান করবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশে থাকবে পোশাক ব্যবসায়ীরা একথা বলেছেন বিকেএমইএ’এর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এর কনভেন অনুযায়ী ১০টি শর্তের মধ্যে ৮টি প্রতিপালন (রেটিফাই) করছে। নতুন সংযোজিত দুটো শর্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রক্রিয়া চলমান। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ইকোনোমিকস রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) অয়োজিত সংগঠনটির প্রধান রেফায়েত উল্লাহ মীরধা সভাপতিত্বে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা কোন নিষেধাজ্ঞায় ভয় পাই না। কেননা, এমন কিছুই করিনি যার কারণে নিষেধাজ্ঞা দিবে যুক্ররাষ্ট্র। শ্রম ইস্যুতে প্রতিযোগী দেশে চায়নার চেয়েও শ্রম ইস্যুতে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। তবুও নিষেধাজ্ঞা দিলে তার ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে তিনি বলেন, দায়িত্ববান শ্রমিক সংগঠন বা নেতা হলে তিনি কারখানার ক্ষতি করতে পারেন না। ট্রেড ইউনিয়ন নিয়েও ভয় কাজ করে মালিকপক্ষের মধ্যে। ট্রেড ইউনিয়ন মানেই যখন তখন কাজ বন্ধ করে দিবে। এসব নিয়ে আমরা ভীত। সম্প্রতি যে শ্রমিকদের আন্দোলন হয় তা প্রকৃত শ্রমিকদের ছিল না। তবে প্রশ্ন হলো কারা ভাংচুর করলো। ভাংচুরে যারা ইন্ধন দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সিসি টিভির ফুটেজ দেখে মামলা হয়েছে। যার হামলার বাহিরে ছিলেন তাদের মামলা প্রত্যাহারে আহ্বান জানিয়েছি।

ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় শ্রম-বাণিজ্য বিশ্লেষক মোস্তফা আবিদ খান বলেন, শ্রম ইস্যু নিয়ে কারখানায় ভয় আছে। শ্রমিক নেতাকে অবশ্যই শ্রমিক হতে হবে। শ্রমিক নেতা শ্রমিক হলেই শ্রমিকের সমস্যা বুঝবেন। আর স্যাংশন নিয়ে আমেরিকার যেটা বলছে, তা স্যাংশন না। বলা হয়েছে ট্রেড প্যানাল্টি বা জরিমানার কথা। এসব বিষয়ে লেখালেখি না করাই ভালো। অনুধাবন করতে হবে বিষয়টা কোন দিকে যায়।

বিকেএমইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামিম এহসান বলেন, সংশোধিত শ্রম আইনে মালিক-শ্রমিকের সব দিক বিবেচনায় আনা হয়নি, হ-য-ব-র-ল অবস্থা ছিল। আর আমেরিকার যে আইনটার কারণে আমাদের ভয় সেখানে তার দুইটা দিক আছে। একটা পর্দার সামনে অপরটি পর্দার আড়ালে।

গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, দেশের শ্রম পরিস্থিতি মতো এত খারাপ হয়নি যেখানে স্যাংশন চলে আসতে পারে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের শ্রম পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। আইএলও’র ১২টি ধারার মধ্যে আটটিতে অনুস্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র করেছে মাত্র ছয়টিতে। শ্রমিক অধিকারের মৌলিক দুটি ধারায় আমেরিকা অনুস্বাক্ষর করেনি।

শ্রমিক নেতা তৌহিদুর রহমান বলেন, আমেরিকার শ্রম নীতিকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। ব্যবসা ধরে রাখতে হলে আমাদের তাদের ম্যামোরেন্ডাম বিবেচনায় নিতে হবে। আমার কাছে মনে হয় পশ্চিম আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। সাম্প্রতিক আন্দোলনে চারজন শ্রমিকের হত্যাকান্ডের কোন তদন্ত ও বিচার হচ্ছে না। যদিও শ্রমিকের মৃত্যতে শোক জানিয়েছে আমেরিকা। বিষয়টি ভাবার বিষয়।

বিজিএমইএর পরিচালক এ এন সাইফুদ্দিন বলেন, পোশাক ব্যবসার সার শুরুরটা ভালো ছিল। শুরুতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে কারখানায় লোক নিয়োগ করা হতো। বিদেশি প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাও ছিল। এখন তা করা হচ্ছে না। তবে ক্রেতাদের চাহিদা মতো পোশাক বানাতে কমপ্লায়েন্সে আসতে হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।