আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা ভোটে চেয়ারম্যানের সংখ্যা আরও বাড়লো। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আরও তিনজন। ফলে বিনা ভোটে জয়ী হতে যাওয়া চেয়ারম্যানের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২২ জন।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্য একীভূত করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৈরি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ১৬২ জন, বাছাই শেষে বৈধতা পেয়েছেন ১৪২ জন। সাধারণ সদস্য পদে ১ হাজার ৯৮৩ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন, এদের মধ্যে বৈধতা পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪২ জন। আর সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৭১৫ জন, যাদের মধ্যে বৈধতা পেয়েছেন ৬৭৩ জন। চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছেন ২২ জন।
যেসব জেলায় চেয়ারম্যার পদে একক প্রার্থী রয়েছে- কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, বরগুনা, বাগেরহাট, ভেলা, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরিয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট।
নরসিংদী ও নারয়ণগঞ্জে একজন করে সাধারণ সদস্যও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। নির্বাচনের আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারদের। রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধরা আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়া শেষে কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে রিটার্নিং একক প্রার্থীদের বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবেন।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর।