ঢাকাসোমবার , ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সম্মানী দ্বিগুণ হচ্ছে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিতদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১৩, ২০২৩ ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের একদিনের সম্মানি দ্বিগুণ করা হচ্ছে। আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সম্মানি বাড়ছে। সাধারণত জাতীয় নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররা ৩ হাজার টাকা সম্মানি পান। এছাড়া যাতায়াত বাবদ প্রত্যেকে অতিরিক্ত আরো ১ হাজার টাকা করে পাবেন। শুধু নির্বাচন পরিচালনায় নয়, আইন-শৃঙ্খলা খাতের ব্যয়ও বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে। নির্বাচনে ব্যয় ধরা হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি বলে ইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অনদিকে, সংসদ নির্বাচনের মালালাসহ অন্যান্য উপকরণ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের ট্রেজারিতে জন্য ইসির পক্ষ থেকে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচন পরিচালনার সাথে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন খাতে ব্যয় বাড়বে। প্রায় ৯ লাখ প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের ভাতাবাবদ গত নির্বাচনের চেয়ে এবার দ্বিগুণ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। শুধু ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভাতা বাবদ ব্যয় বেড়েছে ২৮০ কোটি টাকা। এগুলোসহ নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি। এছাড়া নির্বাচনী প্রশিক্ষণ খাতে ব্যয় হচ্ছে আরো ১৩৫ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। যদিও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচন পরিচালনা এই দুই খাত মিলিয়ে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।

ইসি সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলায় ব্যয় হবে ১ হাজার ৭১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এ ব্যয়ের মধ্যে নির্বাচনে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্য মোতায়েন ও তাদের যাতায়াতের পেছনে ওই টাকা ব্যয় হবে বলে বাহিনীগুলো থেকে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৪৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা চেয়েছে পুলিশ। আর আনসার চেয়েছে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা।

জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ৩৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। সব দল অংশ নেয়ায় ওই নির্বাচনে সহিংসতাও কম ছিল। এবারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্র ও ২ লাখ ৭ হাজার ৩১৯টি ভোট কক্ষ ছিল। তখন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ছিলেন ৬ লাখ ৬২ হাজার ১১৯ জন। আর ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৮ হাজার। এবার ভোটার বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র ও ২ লাখ ৬০ হাজার ভোটকক্ষ হিসাবে ধরে সব পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসি। এবার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রয়োজন হবে প্রায় ৯ লাখ।

ইসি থেকে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ ৪৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা চেয়েছে, একাদশ নির্বাচনে চাহিদা ছিল ৪২৪ কোটি টাকা। চাহিদা কাটছাঁট করে বরাদ্দ দেয়া হয় ১২৯ কোটি ৫৭ লাখ কোটি টাকা। এবার আনসার ও ভিডিপি চেয়েছে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। গত নির্বাচনে এ বাহিনীকে দেয়া হয় ২৪২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এবার বিজিবি চেয়েছে ১৪৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। গত নির্বাচনে বিজিবি পেয়েছিল ৭৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে র‍্যাব চেয়েছে ৫০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা; যা গত নির্বাচনে ছিল ২২ কোটি ১২ লাখ টাকা। এবার কোস্টগার্ড চেয়েছে ৭৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যা গত নির্বাচনে ছিল ২৫ কোটি টাকা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।