প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার দেনা মাথায় নিয়েও বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে তিনি এ দাবি করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে বিমানে সংস্কার আনার পর থেকে তাদের লোকসান হয়নি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বেবিচকের নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন চার্জ ও ফি বাবদ বিমানের কাছে তাদের বকেয়ার পরিমাণ ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে মূল বকেয়া ৯৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা হলেও ভ্যাট, আয়কর ও নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ না করায় সারচার্জ মিলে দেনা সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে জেট ফুয়েলের দামও নিয়মিত পরিশোধ না করায় পদ্মা অয়েল ও বিপিসি’র পাওনার পরিমান দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১০৮ কোটি টাকা। তবে দীর্ঘদিন ধরে তাগাদা দেয়ার পর বিমান বকেয়া পরিশোধ করেছে মাত্র ২০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
তবে এসব দায়ের বিপক্ষে প্রতিমন্ত্রী যুক্তি দেখান, ২০১৯ সালে বিমানকে ঢেলে সাজানোর পর থেকে তারা আর লোকসান করেনি। মাহবুব আলী বলেন, করোনার মধ্যে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিমানকে কার্গো পরিবহন করা হয়েছে। এতে সরকার যে ১ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছিলো সেটাও লাভসহ পরিশোধ করা হয়েছে।