চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করছে মাদ্রসার সাধারণ ছাত্ররা।
একই সঙ্গে মাদরাসার বর্তমান মুহতামিম আল্লামা শফীকে মা’যুর (অক্ষম) উল্লেখ করে কর্মক্ষম নতুন মুহতামিম নিয়োগসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।বুধবার জোহরের নামাজের পর থেকে শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন শুরু করে। সূত্র জানায়, হাটহাজারী মাদরাসা, হেফাজতে ইসলাম ও কওমি মাদরাসা বোর্ড নিয়ে (বেফাক) দীর্ঘদিন ধরেই অভ্যন্তরীণ সমস্যা চলছিল। এ নিয়ে হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়।বিরোধীদের অভিযোগ, হেফাজত আমীর আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানী প্রভাব বিস্তার করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন।
এসব দাবিতে হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানীর অপসারণ চেয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিক্ষোভ করছেন ছাত্রদের একাংশ।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আল্লামা শফী বর্তমানে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তার এই অসুস্থতার সুযোগে কোনো নিয়মনীতি না মেনেই হাটহাজারী মাদরাসা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করছেন আনাস মাদানী। এছাড়া হাটহাজারী মাদরাসা, হেফাজতে ইসলাম ও কওমি মাদরাসা বোর্ডের (বেফাক) ওপর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে আনাস মাদানীর বিরুদ্ধে।
আবু নাঈম নামে বিক্ষোভকারীদের একজন মাদ্রাসা ছাত্র জানান, আল্লামা শফীর প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদকে কোনো নোটিশ ছাড়াই দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর থেকেই আনাস মাদানীর প্রভাব, মাদরাসার ভেতরে প্রশাসনিক অনিয়মের বিষয়গুলো আলোচনায় আসে।
মাওলানা আনাস মাদানীর প্রভাবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই কমপক্ষে ১১ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বিনা কারণে মৌখিক নির্দেশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন- মাওলানা হাফেজ কাছেম (সহযোগী পরিচালক ও মুহাদ্দিস, মাওলানা রশীদ আহমদ ফয়জী, মাওলানা আবু তৈয়ব আব্দুল্লাপুরী (শিক্ষক প্রতিনিধি), মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ ওসমান, মাওলানা তরীকুল ইসলাম, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা মাহবুবুর রশীদ, মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম, মাওলানা হাফেজ ইসমাঈল, মাওলানা হাবীবুল্লাহ সোহাইল, মাওলানা হাফেজ আব্দুর রশীদ। এসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
দৈনিক অপরাজিত বাংলা