বিশ্বজুড়ে কোভিড~১৯ এর দ্বিতীয় প্রবাহে দিশেহারা পুরো ইউরোপ জোন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এ বিষয়ে পূর্বেই বিশ্বকে সাবধান করেছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বজুড়ে আরো প্রায় ৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে করোনায়। টানা বেশ কিছুদিন দৈনিক প্রাণহানির শীর্ষে থাকা ভারতকে টপকে গতকাল মৃত্যু তালিকার শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২ টা ১২ মিনিট পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের তিন কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৩৫ জন। করোনার ভয়াল থাবায় বিশ্বে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯০ হাজার ৯২১ জনে। বিশ্বে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৮১ জন। সারা বিশ্বে আজকে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২২ হাজার ৩০৬ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে ৭৮৪ জনের মৃত্যুতে দেশটির মোট প্রাণহানি ২ লাখ ২০ হাজার ৮৭৩ জন। দৈনিক মৃত্যু সংখ্যায় এরপরেই ভারত। দেশটিতে মঙ্গলবার প্রাণ গেছে ৭২৩ জনের। গেল কিছুদিনের মতোই এখনও সংক্রমণের শীর্ষে দেশটি। সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬৩ হাজার ৫ শতয়ের ওপর। ভারতে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি। এদিন সাড়ে ৩ শতাধিক মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায়। সংক্রমণ বেড়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য আর আর্জেন্টিনায়।
এদিকে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ শুরু হওয়ায় ইউরোপে নতুন করে লকডাউন আরোপ করছে দেশগুলো। আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে চেক রিপাবলিক স্কুল, বার, ক্লাব বন্ধ করে তিন সপ্তাহের অচলাবস্থা জারি করতে যাচ্ছে। অঞ্চলটির এই দেশে প্রতি এক লাখ মানুষে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি।
নেদারল্যান্ডসে লকডাউন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। পাশাপাশি পাবলিক ইনডোর অর্থাৎ জনাকীর্ণ আবদ্ধ পরিবেশে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এরই মধ্যে পশ্চিমা বিশ্বের জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে চীনসহ ২৫টি এশিয়ান রাষ্ট্র। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় মধ্যে পুনরায় বাণিজ্যিক পরিবহণ শুরু হয়েছে।
করোনার ভয়াবহতা দিনকে দিন ভয়াবহ আকার ধারন করছে। তবে করোনা ভাইরাস তার চরিত্র সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে ফেলেছে। আগের চিরাচরিত উপসর্গ ছাড়াও এখন উপসর্গ তার পট পরিবর্তন করেছে। যা খুবই বিপদজনক। বিশেষজ্ঞদের মতে, বার বার হাত ধোঁয়া, মাস্ক ব্যবহার সহ সাধারণ নিয়মগুলো মানলে করোনা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখাটা বর্তমান পরিস্থিতির জন্য একমাত্র সহজ পন্থা।