ঢাকামঙ্গলবার , ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. অনান্য
  2. অপরাধ ও আইন
  3. অভিবাসীদের নির্মম জীবন
  4. অর্থনীতি
  5. আত্মসাৎ
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. উদ্যোক্তা
  9. এশিয়া
  10. কৃষি
  11. ক্যাম্পাস
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. গল্প ক‌বিতা
  15. চট্টগ্রাম বিভাগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গৃহবধু গণধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়:বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০ ৫:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার দায় কার, তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে এটি অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।একইসঙ্গে সিলেট এমসি কলেজে গণধর্ষণের শিকার তরুণীকে রক্ষায় অবহেলা ও অছাত্রদের কলেজে অবস্থান বিষয়ে নীরবতায় কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার বিষয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে

মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এই আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, হোস্টেল সুপারসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ১৮ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।এসময় কলেজ প্রধানের ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। তদন্তকালে কমিটির সদস্যদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা করতে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন আইনজীবী হাফিজ মোহাম্মদ মিজবাহ উদ্দিন।

সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সাধারণ) রেখে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার মারফত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে আটটা থেকে সাড়ে আটটার দিকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন। যে ছয়জনের নাম তিনি উল্লেখ করেছেন, তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

এই ছয়জন হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)।

এ ঘটনায় গত রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ। এ সময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালত গৃহবধূর জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেন।

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারনামীয় পাঁচ আসামিসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র‌্যাব-৯। এদের মধ্যে ছয়জনের পাঁচদিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর ও পাঁচ নম্বর আসামি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এমসি কলেজ শাখার সভাপতি রবিউল হাসান, এজাহারভুক্ত আসামি মাহবুবুর রহমান রনি, সন্দেহভাজন আসামি রাজন ও আইনুদ্দিন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজিতবাংলা ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন oporajitobangla24@yahoo.com ঠিকানায়।