গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগ করা সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সহ মোট ৫ কর্মকর্তা আজ সকাল ১০ টায় তলব নোটিশের ‘জবাব’ দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে এসে হাজির হয়েছেন। করোনাকালে মাস্ক, পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনায় দুর্নীতির অনুসন্ধানের জন্য তাকে তলব করেছিল দুদক।
অন্য একটি চিঠিতে তলব করা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. আমিনুল হাসানসহ চার কর্মকর্তাকে। অন্যরা হলেন—উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী, মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম। তাঁদের আজ (১২ আগস্ট) দুদকের হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়।
আবুল কালাম আজাদকে পাঠানো ‘অতীব জরুরি’ তলবি নোটিশে ১২ আগস্ট দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগসংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। দুদক পরিচালকের সাথে আরও আছেন দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা এবং সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান।
সাবেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে রিজেন্ট চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বক্তব্য গ্রহণের জন্য তলব করা হয়েছে। এছাড়া দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত তলব নোটিশে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিএমএসডি-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি কেনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, দুদক পরিচালক স্বাক্ষরিত পত্রে আজ ১৩ আগস্ট অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে তলব করা হয়েছে।
স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, “রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনা ভাইরাস সনদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকে চলমান অনুসন্ধানের স্বার্থে আবুল কালাম আজাদকে তলব করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য যে, সাবেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগ করার পর অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গত ২৩ জুলাই সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এর দায়িত্ব পান।