বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নৌকার মাঝি অসহায় হারুন বেপারীর কাছ থেকে ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর ১০নং ইলুহার মৌজার ৩৪১নং খতিয়ানের ৪৪ শতাংশ জমি লিখে নেয় একই এলাকার মহিবুল গং’রা। মহিবুল ওই ২নং ইলুহার গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। জানাগেছে ১৯৬২ সালে মহিবুলের আপন দাদা বেলায়েত হোসেন ও চাচাতো দাদা আব্দুল হাসেম ওই ৪৪ শতাংশ জমি হারুন বেপারী গং’দের কাছে সাব কবলা মূলে বিক্রি করেণ। পরে মহিবুল মূর্খ্য খেয়া ঘাটের মাঝি হারুন বেপারীকে ভুল বুঝিয়ে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে গিয়ে চাখার সাব-রেজিষ্টি অফিসে গিয়ে তার দাদাদের বিক্রি কৃত জমি মাত্র ৫’শ টাকা দিয়ে হারুনের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রি করে নেয়।
এ বিষয়টি বুঝতে পেরে অসহায় হারুন বেপারী সম্পূর্ণ ঘটনাটি ইলুহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলামকে জানান। পরে ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারী স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে শহিদুল ইসলাম খালেক ও মহিবুলের কাছে বিষয়টি জানতে চান। ওই সময় বানারীপাড়া প্রেসক্লাবের সংবাদ কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ৫’শ টাকা নয় ধাপে ধাপে মোট দেড় হাজার টাকা দিয়ে ওই সম্পত্তি লিখে নিয়েছে বলে সে সময়ে জানায় খালেক ও তার ছেলে মহিবুল। তবে আইডি কার্ড নেয়ার ব্যপারে খালেক জানান বিষয়টি তার শ্যালক মিলন মিস্ত্রী করেছেন।
প্রতারণা করে জমি লিখে নেয়ায় খালেক ও তার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও হয়েছিলো। পরে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারী চাখার সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে মহিবুল প্রতারণা করে নিজের নামে লিখে নেয়া ৪৪ শতাংশ সম্পত্তি হারুন গং’দের নামে লিখে দেয়। সেই সম্পত্তিতে মহিবুল গং’রা জোর পূর্বক একটি ঘর তুলে। চলতি বছরের শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকালে হারুন গং’রা তাদের সম্পত্তিতে ঘর তুলতে গেলে মহিবুল গং’রা বাধার সৃষ্টি করে। তাদের বাধা উপক্ষো করে পাকা ঘর নির্মাণ করেণ হারুন’রা। সে সময়ে মহিবুল, মিলন মিস্ত্রী ও মাকসুদা সহ অন্যরা হারুন (৬২)’র ওপরে হামলা চালিয়ে আহত করলে তার স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৫৫) ও ছেলে করিম বেপারী (২৭) তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করা হয় বলে জানাগেছে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করাণ বলে হারুনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। প্রসঙ্গত, হারুনের সাব কবলা মূলে ক্রয়কৃত ৪৪ শতাংশ জমি লাগোয়া তার পৈত্রিক আরও ১ একর ৩৬ শতাংশ জমি আছে সেখানেও তিনি ঠিকমতো কৃষি কাজ করতে পারছেন না ওই মহিবুল গং’দের ভয়ে। এ ব্যপারে থানায় অভিযোগ করা হবে বলে জানান হারুনের ছেলে করিম বেপারী। এ বিষয়ে মহিবুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্য সংযুক্ত করা সম্ভব হয়নি।