বাংলাদেশে রবিবার চতুর্থ ধাপে ৫৫টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ হয়েছে৷ কিন্তু তার আগেই ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি সমর্থকদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম৷
তিনি ভোটের আগের দিন শনিবার ঢাকায় ফিরে এসেছেন৷ তবে ঠাকুরগাঁও পৌর নির্বাচনের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নেত্রীর কথামতই কাজ করেছেন তার কর্মীরা৷ ভোটাররা পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দিতে না পারার অভিযোগ উঠেছে৷ সহায়তার নামে বুথে ঢুকে কর্মীরা ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতেই বাধ্য করেছেন, এমন কিছু ভিডিও পাওয়া গেছে৷
‘‘বাংলাদেশের মানুষ একটি স্বাধীন নির্বাচন দেখতে চায়, যেখানে নাগরিকরা অংশগ্রহন করতে পারবে,’’ এ মন্তব্য করেছেন ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ৷
মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম গত বৃহস্পতিবার এক নির্বাচনী সভায় বলেন, ‘‘যাদের মনে ধানের শীষের সঙ্গে প্রেম আছে, তারা কী করবেন? ১৩ তারিখে ঠাকুরগাঁও ছেড়ে চলে যাবেন৷ ১৩ তারিখ সন্ধ্যার পরে তাদের দেখতে চাই না৷ তাদের ভোটকেন্দ্রে আসার কোনো প্রায়োজন নাই৷ তাহলে ভোটকেন্দ্রে যাবে শুধু কে? নৌকা, নৌকা আর নৌকা৷’’
এর একদিন আগে ওই এলাকারই আরেকটি নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘‘সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা নৌকায় ভোট দিতে না চান, ১৩ তারিখ সন্ধ্যার পরে আপনাদের চেহারা এলাকায় দেখতে চাই না৷ কোথায় যাবেন আমি জানি না৷ তবে ঠাকুরগাঁওয়ে থাকতে পারবেন না৷ যারা নৌকায় ভোট না দেবেন, তারা ঠাকুরগাঁও থেকে বিদায় নেবেন৷’’
তার এই দুইটি বক্তব্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে৷ যা অপরাজিত বাংলা২৪.কম’র কাছে অস্বীকার করেননি তিনি৷ এই বক্তব্যের জন্য তিনি অনুতপ্তও নন৷ বলেন, ‘‘আমি যা বলেছি নৌকার জন্যই বলেছি৷’’ তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে মাঠে কি কেউ কাউকে সমীহ করে কথা বলে? আমি আমার ভোট নেয়ার কৌশলে বলব, সেও আমাকে বলবে৷ প্রতিপক্ষতো নির্বাচনের মাঠে এরকমই করে৷ এটা নিয়ে কেন যে সবাই এমন করছেন! কত জায়গায় কত কিছু ঘটছে৷…শুধু আমারটাই ভাইরাল হয়েছে৷’’